রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ বিদ্যুতের তারে মিশে গেল আমার স্বপ্ন, নিভে গেল সংসারের আশার আলো, বেঁচে থাকার নেই কোন অবলম্বন, হাত পা বিহীন দেহটাই শুধু সম্বল, পারি না গো চলতে, পারি না কিছু করতে, অনেক সপ্ন ছিল আমার পৃথিবীটাকে নিয়ে, সব সপ্ন কেড়ে নিল সবনাশা বিদ্যুতের তারে।
★ জীবন বাঁচাতে সাহায্যের আকুতি ★

আমার নাম মোঃ আসিক আহমেদ,
পিতাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম,
গ্রামঃ বামনপাড়া, ৬ নং ওয়ার্ড, ইউনিয়নঃ ভিতরবন্দ, থানাঃ নাগেশ্বরী, জেলাঃ কুড়িগ্রাম। আমি সংসারের অসহায়ত্ব দুর করার জন্য ২০১৫ ইং থেকে কুড়িগ্রাম -লালমনিরহাটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাগেশ্বরী জোনাল অফিসের আওতায় দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে শ্রমিকের কাজ নিয়মিত করেছিলাম।

ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে গত ২৬-১১-২০১৯ ইং তারিখে ৭ নং নেওয়াশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আমজাদ হোসেন সরকারের বাড়ীতে সেচের STW নতুন সংযোগের কাজ করা জন্য বিদ্যুতের খুটিতে উঠে কাজ করা অবস্থায় আমার কাছ থেকে কোন রকম ক্লিয়ারেন্স না নিয়ে লাইন চালু করলে আমি বিদ্যুৎ পৃষ্ট হই, তার পরে আমার ২ হাত, ও ১ পা কেটে ফেলা হয়। তার পর নাগেশ্বরী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার DGM মোঃ আতিকুর রহমান আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার কথা বলেন, যার কারণে আমার জীবনে নেমে আসে ঘোড় অন্ধকার, তারা এখন আর আমার কোন খোঁজ খবর নেয় না, ইতোমধ্যেই আমার দুই হাত ও এক পা কেটে ফেলতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে, আমার জীবন বাঁচাতে এই ৬ লক্ষ টাকা সম্পন্ন অন্যের কাছ থেকে ধার করেছে আমার পরিবার। এখন আমার দুই হাত ও এক পা লাগাতে ৬ লক্ষ টাকা প্রয়োজন, কিন্তু আমি নিরুপায়। পল্লী বিদ্যুত থেকে শুধু মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে আজ না কাল কাল না পরশু।

এখন অফিসের সবাই আমাকে কোন রকম আথিক সহযোগিতা না করে আমার এই ঘটনা টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতেছে। আমি এর বিচার কোথায় পাবো??

জাতির কাছে আমি বিচার চাই। দয়া করে সবাই শেয়ার করবেন তাহলে আমি হয়তোবা আমার ক্ষতিপূরণ পেতে পারি।

প্রায়জনেঃ 01733824822

Share.
Exit mobile version