খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা সিরাজগঞ্জ “বঙ্গবন্ধু সেতু ইকোপার্কে” অবমুক্ত করার জন্য সাপটি নিয়ে যান।
এলাকাবাসীর ধারণা বন্যার পানিতে ভেসে এসেছে সাপটি ।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের যমুনা পারের পেঁচাকোলা গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল।বর্তমানে বেশির ভাগ বাড়ি থেকেই পানি নেমে গেছে।
শুক্রবার সকালে বেলাল হোসেনের বাড়ির ইটের গাদায় একটি বিশালাকৃতির অজগর সাপ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
লোকজনের চিৎকার-চেঁচামেচিতে এলাকাবাসী সেখানে ছুটে গিয়ে সাপটিকে ধরে বস্তাবন্দী করে ফেলেন।
সাপটি লম্বায় ১১ ফুট এবং এর ওজন ১৩ কেজি।
সাপটিকে এক নজর দেখার জন্য উৎসুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা যায়।
পরে এদিন দুপুর দেড়টার দিকে বন বিভাগের লোকজন সাপটিকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু ইকোপার্কে সেটিকে অবমুক্ত করার জন্য রওনা হন।
বাড়ির মালিক বেল্লাল হোসেনের বড় ভাই ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমার ছোট ভাইয়ের ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটিকে কয়েকজনের সহায়তায় উদ্ধার করি।
পাবনার সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে কর্মীদের পাঠিয়ে সাপটি আমাদের জিম্মায় নিয়েছি। সাপটিকে বঙ্গবন্ধু সেতু ইকোপার্কে আজই অবমুক্ত করা হবে।