এ দম্পতি একটি সন্তান লাভের আশায় ডা. শিলা সেনের চিকিৎসা গ্রহণ করেন। চিকিৎসা আর পরামর্শ গ্রহণের পর রীতা গর্ভবতী হন। আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে রীতার গর্ভে দুটি সন্তানের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। গর্ভধারণের পর থেকে তিনি নিয়মিত ডা. শিলা সেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা গ্রহণ করতে থাকেন।
গত ১৩ মে হঠাৎ করে রীতার পেটব্যথা শুরু হলে তাৎক্ষণিক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে নিজ চেম্বারে আসতে বলেন ডাক্তার। রীতা আসার পর তাকে তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহের শিলাঙ্গন হাসপাতালে ভর্তি করে লেবার ওটি’তে পাঠানো হয়।
ওইদিনই ১৩ মে ডা. শিলা সেনের তত্ত্বাবধানে রীতা একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। রীতার কন্যা সন্তানটি ৩১ সপ্তাহে জন্ম নিয়েছিল। ওজনও ছিল খুব কম অর্থাৎ মাত্র ১১০০ কি.গ্রাম।
জানা যায়, অন্যদিকে রীতার গর্ভের দ্বিতীয় বাচ্চাটি তার গর্ভেই থেকে যায়। রীতাও শারীরিকভাবে সুস্থতাবোধ করতে থাকলে ৭২ ঘণ্টা পর ডা. শিলা সেন পরবর্তী চিকিৎসার জন্য রীতাকে ময়মনসিংহের চূরখাইয়ে অবস্থিত কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তারপর ২৩ জুন রীতা গর্ভের দ্বিতীয় পুত্র সন্তান প্রসব করেন।
রীতা আক্তার ও আমিনুল ইসলাম দম্পতির বাড়ি গাজীপুরের কাপাশিয়া উপজেলার বর্মী’র নয়ানগর গ্রামে।
রীতা আক্তার জানান, দীর্ঘদিন পেটে সন্তান না আসায় ডা. শিলা সেনের চিকিৎসা গ্রহণ করি। চিকিৎসা আর পরামর্শ গ্রহণের পর আল্লাহর রহমতে গর্ভবতী হই।এক কন্যা সন্তান জন্মের ৩৯ দিন পর ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছি। আমি একজন গর্বিত মা।
ডা. শিলা সেন জানান, সাধারণত জমজ বাচ্চার প্রসব কয়েক মিনিট বা এক-দুই ঘণ্টার ব্যবধানে হয়ে থাকে।এ দম্পতির জন্য আশীর্বাদ রইলো। রীতা ও সন্তান এখনও সুস্থ আছে।