আমাদের দৈনন্দিন জীবন যে পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে শারীরিক পরিশ্রম ঠিক যতটা কম করতে হয়, মানসিক পরিশ্রম ঠিক ততটাই বেশি করতে হয়। চেয়ার টেবিলে বসে কাজ, কিন্তু তার পরেও মানসিক পরিশ্রমের কারনে শরীরে প্রভাব পড়ে এবং একাধারে মানসিক পরিশ্রম অন্য দিকে শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, এই দুই কারনে শরীরে মেদ জমার টেন্ডেন্সি বেড়ে যায়।
আবার ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত কারবহাইড্রেট জাতিও খাবারও শরীরে মেদ জমার একটি অন্যতম কারন। শরীরের এই অতিরিক্ত মেদ থেকে পরিত্রাণ পেতে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করুন। জেনে নেওয়া যাক সেইগুলি সম্পর্কে…

১। দিনের শুরুটা করুন নাতিশীতোষ্ণ এক গ্লাস গরম জলে অল্প লেবু ও মধু দিয়ে। এটি মেদ কমাবার একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। প্রতিদিন সকালবেলা এই জল এক গ্লাস করে পান করুন। তাছাড়া দিনে অন্তত তিন লিটার জল পান করুন।

২। ভাত খাওয়া কম করুন। প্রয়োজনে দিনে এক বেলা ভাত খান এবং রাতে রুটি, ডালিয়া এই জাতীয় খাবার খান। দুপুরে ভাতের পরিমান কম করে খাবার তালিকায় সেই জায়গায় রুটি বা গমের কিছু খাবার যোগ করতে পারেন।
৩। যে সমস্ত খাবারে সুগারের পরিমান বেশি থাকে সেই সমস্ত খাবার যেমন মিষ্টি, কোল্ড ড্রিঙ্ক এবং সমস্ত রকম ফাস্ট ফুড ও তেলে ভাজা খাওয়া কম বা প্রয়োজন বুঝে বন্ধও করুন। ডাক্তারদের মত অনুযায়ী এই জাতীয় খাবারগুলো আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষত পেট ও পায়ের থাইতে খুব দ্রুত চর্বি জমিয়ে ফেলে। তাই এই খাবারগুলির পরিবর্তে ফল খান।

৪। হালকা খাবার খেতে হবে, শাকসবজি জাতিও খাবারের পরিমান বেশি করতে হবে। কারন শাকসবজিতে ফাইবার থাকে যা মেদ কমাতে সাহায্য করে। ৫। দুপুরে এবং রাতে শুতে যাবার আগে সামান্য গরম জলে আদা থেঁত ও জিরে গুঁড়ো দিয়ে খেলে মেদ বেশ তাড়াতাড়িই কমে যায়।

৫। ঘুম, হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন ঘুম। ঘুম ভালো হলে শরীর মন যেমন ভালো থাকে তেমনই মেদও কমে যায়। ৭। অফিসে সর্বক্ষণ বসে বসে কাজ করার ফলে ভুঁড়ি হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন দিনে একটু সময় বার করে বা বাড়ি ফেরার আগে একটু হেঁটে নেওয়ার।

Share.
Exit mobile version