একতা-সুন্দরবন ও পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু

এই ১৩ জোড়া ট্রেনের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ৩টি ট্রেন চালু হয়েছে। রবিবার ১৬ আগস্ট সকাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে এ ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সারাদেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। দুই মাস পর গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। গত ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরো ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়।
রেলওয়ের কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, আজ সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে পারাবত, চিত্রা, নীলসাগর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে।
যে ১৩ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো- পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড়া এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটী-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস।

রেলের বহরে যুক্ত হয়েছে আরো ২৬টি ট্রেন। সবমিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা ৬০টি।
ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে চলতি মাসের মধ্যেই পর্যায়ক্রমেই সব ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।