অনেক বাবা-মা বলে থাকেন, তাঁদের শিশু মাত্রাতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক রকমের ঘামে।
এমনকি শীতের দিনেও বাচ্চারা অনেক ঘামে। সব সময় এই ঘামকে কোনো রোগবালাই ভাবা ঠিক নয়। জ্বর ছাড়া কোনো শিশুর বেশি ঘাম হলে তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

অনেক শিশুর ‘মাথা ঘামে বেশি’, এর কারণও অজানা, কিন্তু রিকেটস্ (ভিটামিন ডি-এর অভাবজনিত অসুখ) ও জন্মগত হৃদ্যন্ত্রের ত্রুটির শিশুতে এটা সুনির্দিষ্ট লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত। হাতের পাতা ঘেমে জবজবে হওয়া স্বাভাবিক শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের এমনিতেই হতে পারে।

থাইরোটক্সিকোসিস (থাইরয়েড হরমোনের আধিক্যজনিত অসুখে) শিশু বেশি ঘামে। এ ছাড়া কিছু রোগ, যেমন রিলেই সিনড্রোম, ফেয়েক্রোমোসাইটোমাতে শিশু ঘামে বেশি।

তবে এতে অন্যান্য লক্ষণও থাকে। শিশু যদি অ্যানিমিয়া, ব্যথা বা মূর্ছা যাওয়া সমস্যায় ভোগে, তবে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। ঘর্মাক্ত শিশুর ফিট ব্যামো, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়া, জ্বর আছে কি না লক্ষ করতে হবে। বেশ কিছু ওষুধ শিশুকে অতিরিক্ত ঘামায়।

যেমন এমফিটামিন, পেথিডিন, থাইরোক্সিনের অতি মাত্রা প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে মা যদি কোনো রূপ ওষুধে আসক্ত থাকেন, তবে স্তনপানরত শিশু তার ফলাফল বহন করতে পারে।

শিশু অতিরিক্ত ঘামলে ভেজা কাপড়ে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তাই ঘামে ভেজা কাপড়চোপড় বারবার পাল্টে দিন। অনেক সময় হালকা শীতেও শিশুরা যখন ঘামছে, তখন বেশি কাপড়চোপড়ে বা গরম কাপড়ে জড়িয়ে রাখার দরকার নেই। খোলা আলো বাতাস আসতে দিন। অনেক সময় ঘাম থেকে ত্বকে র্যা শ হতে পারে। তার চিকিৎসা নিন।
তথ্য সংগ্রহেঃশাহজাহান সরকার

Share.
Exit mobile version