পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ দল (ডিবির) বিশেষ অভিযানে টাঙ্গাইল জেলার নগরপুর গ্রাম থেকে এস এম সি র নকল ওরস্যালাইন কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মাটির নিচে গোপন কারখানা নকল ওরস্যালাইন তৈরির মেশিন মালামাল ও কারখানাসহ মালিক আলমগীর হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করে পাবনা ডিবি পুলিশ।

রবিবার ১৬ আগষ্ট দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এই নকল স্যালাইন কারখার সন্ধান ও উদ্ধার অভিযান বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম (পিপিএম ও বিপিএম)।

পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, গত ১৫ জুন পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর বাজারে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী নকল এসএমসির ওর স্যালাইন দোকান গুলোতে কম দামে পাইকারী দরে বিক্রি করছিলো। সে সময় সন্দেহ ভাজন একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তার নিকট হতে ১৬ কার্টুন নকল ওরস্যালাইনসহ একটি পুরাতন ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ী উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্তে সাঁথিয়া থানার একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত নকল ওরস্যালাইরে প্যাকেটে (এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিঃ) লেখা ছিলো।
আটকৃত ব্যক্তির দেয়া তথ্য মতে পাবনা ডিবি পুলিশ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।

দীর্ঘ দুইমাস পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেলার নগরপুর গ্রামে থেকে মূল হোতা নকল এস এম সির ওরস্যালাই তৈরির কাখানার সন্ধান পায় পুলিশ। অভিযানে কারখানার মালিককে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এবং সেই বাড়ির মাটির নিচে বাঙ্কার কেটে স্থাপন করা নকল স্যালাইন কারখানার সন্ধায় মেলে। কারখানাটি সিলগালা করে কিছু মালামাল উদ্ধার করে নিয়ে আসে পাবনা ডিবি পুলিশ।

ওই ঘটনার টাঙ্গাইল জেলার নগরপুর গ্রামের সামসুল হকের ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন(২৫)কে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে (ডিবি)। ওই বাড়ি থেকে নকল ওরস্যালাইন তৈরির মেশিন এবং বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানাগেছে। অইনগত পক্রিয়া শেষে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ডিএসবি) মোছাঃ শামিমা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ মাসুদ আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডিবি মোঃ ফরিদ হোসেন, ডিএসবি বিশেষ শাখার ডি আই ও-১ এ কে এম আলমগীর জাহান, রাজশাহী বিভাগের এস এমসি ওর স্যালাইন এর বিক্রয় ম্যানেজার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

Share.
Exit mobile version