নির্ভরযোগ্য সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিনিধি জানান, গত সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। ওই আলোচনায় নরেন্দ্র মোদি দুই নিকট প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখার ওপর জোর দেন।
সূত্রগুলো আভাস দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এর পাশাপাশি তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সংক্ষিপ্ত এ সফরের সময় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠক হবে।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এবং নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হলে এ সফর নিয়ে কোনো পক্ষই মন্তব্য করেনি। সাধারণত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের এ ধরনের সফরে ক্ষেত্রে সরকারিভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়ে থাকে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই সময়টাতে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মতো দুই নিকট প্রতিবেশীর সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিরতি টানতে হয়েছে। এরপরও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় যে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছিল তা দূর করতে দুই দেশ নতুন নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। গত ছয় মাসে দুই পক্ষের অনির্ধারিত অনেকগুলো বৈঠক স্থগিত হলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার ফোনে কথাও বলেছেন। সামগ্রিকভাবে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একে অন্যকে কীভাবে সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে এ বিষয়টির পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে ঢাকা সফরে আলোচনা করতে পারেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এ বছরের জানুয়ারিতে সে দেশের পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন।