প্রায় প্রতি বাড়িতে বসবাসের ঘরের মধ্যেও পানি ঢুকে পরেছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উঁচু ভিটার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। আবার কেউ কেউ ঘরের সাথে বাঁশের সাকো বেধে এরপর কলার ভেলা দিয়ে বাইরে এসে বিভিন্ন কাজকর্ম করছে। পানি বন্দি হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট।
নাগডেমড়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, আমার ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ১২শ’ পরিবার ১৫ দিন পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। ফলে এ সব এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। মানবেতর জীবন যাপন করছে হাজার হাজার ত্রাণবিহীন এসব মানুষ। প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি,ঔষধের অভাব প্রকট ভাবে অনুভব করছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত কোন ত্রাণ সহায়তা পাইনি। ঈদের আগে সামান্য ১ টন খাদ্য সামগ্রী পেয়েছিলাম। এ ছাড়া আমি নিজ থেকে যতটুকু পারছি সহযোগীতা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম কোরাইন্টাইনে থাকলেও তিনি বলেন, ৮/১০দিন আগে ত্রাণের জন্য চাহিদা দেয়া হয়েছে। অনুদান এলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তা বিতরণ করা হবে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, আমাদের ত্রাণ পর্যাপ্ত আছে। অতিসত্ত্বর সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ত্রাণ পৌছে দেয়া হবে।