রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ–  রিজেন্ট কেলেঙ্কারির হোতা মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের সঙ্গে জেকেজি’র হোতা ডা. সাবরিনা চৌধুরীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদ ও সাবরিনা দুজনই একে অপরকে চেনাজানার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। জানা গেছে, উত্তরা ৬নং সেক্টরের পার্কের পাশের মিলিনিয়াম রেস্টুরেন্টে প্রথম পরিচয় হয় এই দুই প্রতারকের। রেস্টুরেন্টটিতে জাপানি খাবার পাওয়া যেত। আর সাবরিনা এই খাবারগুলো বেশ পছন্দ করতেন। নিয়মিতই তিনি সেখানে যেতেন জাপানি খাবার খেতে। সেখানেই সাহেদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার শুরু।
জানা গেছে, মিলেনিয়াম রেস্টুরেন্টটি রাজবাড়ীর এক বাসিন্দার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাপানে ছিলেন। জাপানি এক নারীকে বিয়েও করেছেন। তার স্ত্রী ও এক মেয়ে জাপানেই থাকেন। দেশে এসে তিনি ওই রেস্টুরেন্টটি করেন। পরে ২০১৯ সালে যৌথভাবে ব্যবসার জন্য রিজেন্টের সাহেদের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। চুক্তিতে বেশকিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছিলেন। শর্তের মধ্যে ছিল সাহেদকে মাসে মাসে একটা ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু কিছুদিনের মাথায় সাহেদ সেই হোটেলের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ নিজের কব্জায় নিয়ে নেন। হোটেলের মূল মালিককে হোটেলে ঢুকতে দিতেন না। হোটেলটির নিচে খাবারের রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখানে জাপানি খাবারের পাওয়া যেত।

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাপানি খাবার পছন্দ করতেন। তাই তিনি ওই রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যেতেন। সেখানে সাহেদের সঙ্গে তার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা। সাহেদের দখল করা হোটেলের ওপরে আবাসিক ব্যবস্থা ছিল। তাই প্রায়ই সেখানে পার্টির ব্যবস্থা করা হতো। বিত্তশালীদের আনাগোনা ছিল সেখানে। সাবরিনা প্রায়ই এসব পার্টিতে অংশ নিতেন। সেখান থেকেই সাহেদ সাবরিনার মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সাহেদ কিছুদিন হোটেলটি তার কব্জায় রেখে পরিচালনা করেছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ওই হোটেলটি স্বাস্থ্য অধিদফতরকে দেন। সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালটি ছিল করোনা ডেডিকেটেড। তাই সেখানকার চিকিৎসক-নার্সদের সেই হোটেলেই রাখা হতো। করোনার জন্য হোটেল বরাদ্দ দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে সাহেদ। বর্তমানে হোটেলটিতে খাবার ও আবাসিক কোনও ব্যবস্থাই চালু নাই বলে জানা গেছে।

Share.
Exit mobile version