রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করার জন্যেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। ২০৪০ সালের পর জালানি চালিত ইঞ্জিন বিক্রি বন্ধের পরিকল্পনা নিয়েছে। এমনকি এ সিদ্ধান্ত ২০৩৫ সালেই কার্যকর হতে পারে। দূষণমুক্ত সবুজ জালানি নির্ভর পরিবহন ব্যবস্থা সৃষ্টির জন্যে এধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। ব্রিটিশ সরকারের ওপর দেশটির এমপিরা এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছেন। ডেইলি মেইল

টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কমিটি মন্ত্রীদের আরো আগেভাগে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায় কি না তা ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছে। কোভিড মহামারীর পর ‘বিল্ড ব্যাক গ্রিনার’ কর্মসূচির আওতায় এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছেন অন্তত ১’শ এমপি। ব্রিটেনের পরিবহন মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস নিজেও বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করছেন এবং এর আগে তিনি ২০৩২ সালের মধ্যে জালানি নির্ভর গাড়ি তুলে দিতে বলেছিলেন।

এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে ব্রিটেন আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও সুইডেনের পর্যায়ে পৌঁছাবে। ওইসব দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে জালানি নির্ভর গাড়ি বাতিল করতে যাচ্ছে। এবছরের জুন পর্যন্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির পরিমান ব্রিটেনে মাত্র ৪.৭ শতাংশ। ২০৫০ সালের মধ্যে শূণ্য কার্বন দূষণে যেতে চাচ্ছে ব্রিটেন। কিন্তু গাড়ি নির্মাতারা এমনিতে কোভিড মন্দায় আক্রান্ত এরপর দ্রুত বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে প্রযুক্তি ও পুঁজি স্থানান্তর তাদের পক্ষে কতটা সম্ভব হবে তা বলা কঠিন। এছাড়া বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে তা বিদ্যুৎ চাহিদার ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। কিন্তু বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রকল্পের পরিচালক গ্রামি কুপার বলেন চাহিদার সঙ্গে বিদ্যুতের যোগান দেয়া সম্ভব। ব্রিটেনে এক তৃতীয়াংশ কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ হয় জালানি চালিত গাড়ির কারণে।

Share.
Exit mobile version