ইন্টারনেট আর স্টোরেজ ছাড়া স্মার্টফোন বেকার। ধীরে ধীরে যখন ফোনের স্টোরেজ ভরে যায়, তখন ফোনে নতুন করে কোনো কিছু সংরক্ষণ করতে গেলে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয় সেট স্লো ছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। হাই রেজল্যুশন আলোকচিত্র আর ভিডিও ফোনের সব থেকে বেশি জায়গা নিয়ে থাকে। আর এর ফলে ফোন খালি করার জন্য কিছুদিন পরপরই ল্যাপটপে ফাইল ট্রান্সফার করতে হয় বা বিভিন্ন গেম, অ্যাপ ও ফাইল ডিলিট করতে হয়। বেশ কিছু পদ্ধতিতে ফোনের স্টোরেজ ফাঁকা করা যায়।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনস্টল করুন
স্মার্টফোনের স্টোরেজে একটি বিরাট অংশজুড়ে থাকে অ্যাপ। আর তাই ফোনে যদি এমন অ্যাপ ইনস্টল থাকে, যা আপনি কখনোই ব্যবহার করেন না, তাহলে এখনই সেই অ্যাপ আনইনস্টল করে ফেলুন। এতে আপনার ফোনের অনেক স্টোরেজ খালি হয়ে যাবে।
ফোনে সেটিংস থেকে স্টোরেজ ফাঁকা করুন
অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ফোনের সেটিংস থেকে সহজেই অনেক স্টোরেজ খালি করতে পারবেন। অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ‘অরিও’তে এই ফিচার এসেছে। এটি করতে সেটিংসে গিয়ে স্টোরেজ সিলেক্ট করুন। এরপর ফ্রি আপ স্পেস অপশন সিলেক্ট করে ফোনের অপ্রয়োজনীয় সব ফাইল এক ক্লিকে ডিলিট করে ফোনের স্টোরেজ ফাঁকা করে ফেলতে পারবেন।
ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করুন
ফোনে মাল্টিমিডিয়া ফাইল স্টোর করার অভ্যাস পরিহার করুন। এসব ফাইল ফোনে রাখার জন্য বিভিন্ন ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন। গুগল ফটোস অ্যাপে বিনা মূল্যে অসংখ্য ছবি ও ভিডিও ক্লাউডে স্টোর করে রাখা যায়। এ ছাড়া আইফোন ব্যবহারকারীরা আইক্লাউড সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন। ক্লাউড সার্ভিসে ছবি ও ভিডিও আপলোড হয়ে গেলে ফোন থেকে তা ডিলিট করে দিন।
অনলাইন স্ট্রিমিং সার্ভিস ব্যবহার করুন
গান শোনা বা ভিডিও দেখার ফোনে ফাইল স্টোর না করে অনলাইন স্ট্রিমিং সার্ভিস ব্যবহার করুন। এর ফলে আপনার ফোনে অনেক স্টোরেজ ফাঁকা হয়ে যাবে।
ফোনে ক্যাশ মেমোরি নিয়মিত পরিষ্কার করুন
ক্যাশ ফাইল হলো আপনার ফোনের অস্থায়ী ফাইল। একবার ব্যবহারের পর এই ফাইল আর তেমন জরুরি কোনো কাজে লাগে না। কিন্তু আমাদের ফোনে এই ফাইলগুলো চিরতরে সেভ হয়ে থাকে। তাই নিয়মিত এই ফাইলগুলো পরিষ্কার করলে ফোনের স্টোরেজ খালি হবে। ফোনের সেটিংসে গিয়ে স্টোরেজ অপশনে গেলে ক্যাশ ডাটা নামের অপশন দেখা যাবে। সেখান থেকে ফোনের ক্যাশ ডাটা ক্লিন করতে পারবেন।
আলাদা মেমোরি কার্ড ব্যবহার করুন
ফোনের স্টোরেজ ফুল হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার সহজতম উপায় হলো এক্সটার্নাল মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা। এতে ফোনের অভ্যন্তরীণ মেমোরিতে চাপ পড়ে না, নিশ্চিন্তে ফোনেই সব ধরনের অ্যাপ, গেম ও মিডিয়া ফাইল রাখা যায়। কিন্তু ইদানীং অনেক স্মার্টফোনেই মেমোরি কার্ডের স্লট থাকছে না। সুতরাং এদের ওপরের পদ্ধতিগুলো দিয়েই কাজ সারতে হবে।
শাহজাহান, তথ্য সংগ্রহে