বিশেষ প্রতিনিধি।।গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে নারায়ণগঞ্জে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর বলেন, পঞ্চাশ হাজার টাকা না দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জের তিতাস কর্মকর্তারা বাইতুল সালাত মসজিদের গ্যাস পাইপে লিকেজ সংস্কার করেননি।

শনিবার ৫ সেপ্টেম্বর সকালে তিতাস গ্যাসের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলে তাদের সামনেই সভাপতি আঃ গফুর আরও বলেন, লিকেজের বিষয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকা না দেওয়ায় তারা এ সমস্যা সংস্কার করেননি। তবে মসজিদ কমিটি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেনি। মৌখিকভাবে নারায়ণগঞ্জের তিতাস গ্যাস অফিসের কর্মকর্তাদের জানানো হয়।

মসজিদ কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, পাইপ মেরামত করতে কমিটির পক্ষ থেকে আমরা তিতাস কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েছি। কিন্তু তারা টাকা দাবি করলে এ বিষয়ে আর গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, মসজিদের নিচ দিয়ে গ্যাস লাইনের পাইপ বসানো ছিল। নামাজ পড়তে এলেই পাওয়া যেত গ্যাসের গন্ধ। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির মাধ্যমে একাধিকবার জানানও হয়েছিল তিতাস কর্তৃপক্ষকে। তবে তারা এ বিষয়টি আমলে নেয়নি। তাদের গাফিলতিতেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিতাস গ্যাস এন্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির এমডি মো. আল মামুন গণমাধ্যমে বলেন, মসজিদে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় তিতাসের কোনো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুসল্লিদের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দোষী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদের এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৪০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে।

Share.
Exit mobile version