রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের চম্পাফুল গ্রামে ছেলে আরিফ বিল্লাহকে হত্যা করে মাটিতে পুতে ফেলার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত সৎমা জোহুরা খাতুন ও পিতা ইমান আলীকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এদিকে নিহতের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলওয়ার হোসেন জানান, চম্পাফুল গ্রামের ইমান আলী মোড়ল পাঁচ বছর আগে ছেলে আরিফ বিল্লাহকে কাছে রেখে তার প্রথম স্ত্রী খালেদাকে তালাক দেন। পরে খালেদা অন্যত্র বিয়ে করেন। ইমান আলীও পরে জোহুরা খাতুনকে বিয়ে করেন। আরিফ বিল্লাহ তার সৎ মা জোহুরা খাতুনের নিকট বড় হতে থাকে। তবে প্রায়ই জোহুরা খাতুন আরিফ বিল্লাহকে মারধর করতেন। আরিফ বিল্লাহ একটি মোবাইল কেনার টাকা চাইলে আরো বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে তার পিতা ও সৎমা। একপর্যায়ে মোবাইল কেনার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে গত ২৫ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে কিশোর ছেলে আরিফ বিল্লাহকে (১৭) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার সৎমা জোহুরা খাতুন ও বাবা ইমান আলী। পরে তড়ি-ঘড়ি করে রাতেই বাড়ির পাশের বাগানে ছেলেকে পুতে ফেলে তারা। (ছবির গোলাকার চিহ্নিত আরিফ বিল্লাহ)পরের দিন থেকে তারা আরিফ নিখোঁজ বলে প্রচার দেয়।
৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে গ্রামের একটা চায়ের দোকানে নিকটতম একজনের চাপাচাপিতে আরিফের মৃত্যুর সত্য ঘটনা জানালে বিষয়টি তৎক্ষনাৎ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে স্থানীয়রা ইমান আলী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জোহুরাকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ইমান আলী ও জোহরা ছেলে আরিফ হত্যার কথা স্বীকার করে মরদেহ পুঁতে রাখার স্থান সম্পর্কে পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে আরিফের মা খালেদা বেগম শুক্রবার রাতেই ইমান আলী ও জোহরার নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এছাড়া ইমান আলী ও জোহুরা খাতুনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।