বিশেষ প্রতিনিধি।। পাবনার সুজানগরে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ও আহত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন।
পাবনার সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানাধীন রানীনগর গ্রামে মাছ ধরা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৪ জন গুলিবিদ্ধসহ ২২ জন আহত হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেনসহ পাঁচজনকে আটক করেছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সাইদুল, শরীফুল আরিফ ও দোলোয়ার ও জানা সম্ভব গয় নাই।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রানীনগর ইউনিয়নের ভাদুরজলা বিলের একটি জলাশয় নিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান মাস্টার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা খায়রুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি আদালত খায়রুল মাস্টারের পক্ষে রায় দেন। আজ দুপুর ২টার দিকে খায়রুলের লোকজন ওই বিলে মাছ ধরছিল। এ সময় শাহিনুর ও তাঁর বাবা শাহাদতের নেতৃত্বে খায়রুলের লোকজনের ওপর অতর্কিতে হামলা ও গুলি চালায়। এতে ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে আরো আটজন আহত হয়। পরে খাইরুলের লোকজন শাহাদতের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, শাহাদত হোসেন ও শাহিনুর মাস্টার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আব্দুল ওহাবের পক্ষের এবং খাইরুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থক।

সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওহাব গ্রুপের লোকজন আমার গ্রুপের ১৪ জনকে গুলি করেছে। তারা এখন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে।’

সুজানগর পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি অরাজনৈতিক ও স্থানীয় বিষয়। তবে উভয় পক্ষই আওয়ামী লীগ করে।’

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Share.
Exit mobile version