নিজস্ব প্রতিবেদক:- স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ১নং বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে একটি ব্রীজের অভাবে যাতায়েতের দূর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে লাশঘাটা খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা, ব্রাহ্মণদিয়া এবং চর উত্তর ভূতেরদিয়া সহ ৩ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে।

ভাঙ্গা বাঁশের সাঁকো নিয়ে গত মাসের ১৬ আগষ্ট বরিশালের বেশকিছু দৈনিক পত্রিকাসহ দৈনিক আজকের বার্তায় ও অনলাইন দৈনিক রাঙা প্রভাত পত্রিকায় একটি সচিত্র প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।

দূর্ভোগ লাঘবে সরকারি উদ্যোগ না থাকায় অবশেষে এলাকাবাসীর উদ্যোগে চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করার কাজ এগিয়ে চলছে।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ৩ টি গ্রামের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ সাধারন জনগণকে নৌকায় লাশঘাটা খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকার ব্রাহ্মণদিয়া খালের উপর সাঁকো দিয়ে পার হয়ে হাট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে হয়।

কিন্তু সরকারী ভাবে দূর্ভোগ লাঘব করা না হলেও গেল বছর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: তরিকুল ইসলামের তত্ত¡াবধানে ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা নিয়ে একটি দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এর ফলে যাতায়েতের দূর্ভোগ লাঘব কিছুটা কম হলেও । গত মাসের প্রথম দিকে সাঁকোটি নদীর মধ্যে ভেঙে পড়ে।

স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ নৌকায় ব্রাহ্মণদিয়া এবং চর উত্তর ভূতেরদিয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে নৌকায় এই নদী পাড় হয়ে জাহাঙ্গীর নগর, আগরপুর বাজার সহ জেলা সদরে যাতায়াত করে আসছে । পারাপারের এ দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে একটি ব্যবসায়ী মহল এবং এলাকার বাসিন্দারা সম্মিলিতভাবে অর্থ ও বাঁশ তুলে সাঁকোটি তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । ৬০০ ফুট দৈঘ্যর এ বাশের সাঁকো তৈরীতে এখনো অনেক অর্থের প্রয়োজন।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: তরিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের নিজস্ব উদ্যোগে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানতে পারলাম । এখাতে কোন বরাদ্দ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন আর্থিক সহযোগিতা করা সম্ভব না হলেও তিনি খোঁজ খবর নিচ্ছেন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য কেও খোঁজ খবর নিতে বলেছেন। তবে সাঁকোটি নির্মান করায় তিনি এলাকাবাসীকে স্বাগত জানান।

স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুম এলে এই ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। লাশঘাটা খেয়াঘাট সংলগ্ন লাশঘাটা – আগরপুর খালের উপর দিয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসলেও অজ্ঞাত কারণে ব্রিজটি নির্মিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী রফিকুল ইসলাম রনি বলেন, গত মাসের প্রথম দিকে সাঁকোটি নদীর মধ্যে ভেঙে পড়ে। নদী পারাপারের এ দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে একটি ব্যবসায়ী মহল এবং এলাকার বাসিন্দারা সম্মিলিতভাবে অর্থ ও বাঁশ তুলে সাঁকোটি তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ।

রনি আরো বলেন, বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় তার ইউনিয়নবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে। এলাকার বাসিন্দারা নদীর ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবী জানান।

Share.
Exit mobile version