অপেক্ষা
প্রিয়তমা,
অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয় নিয়ে লিখছি তোমাকে-
আমি ভাল নেই;
আমাদের প্রিয় শহর ভাল নেই।
জীবনানন্দ চত্বরে আজ আর আড্ডা হয় না;
অডিটোরিয়াম বারান্দায় কেউ দাঁড়িয়ে নেই;
চায়ের টেবিলে কারো হাতে সিগারেট জ্বলে না;
জিরো পয়েন্টেও ফুরিয়েছে মিছিলের প্রস্তুতি।
পথঘাট জনশূন্য;
বিপণি বিতানে রঙিন আলো ফুরিয়েছে বহু আগে;
ধর্মশালায় জনসমাগম নেই বললেই চলে;
পথঘাট ফাকা- গণ পরিবহণ বন্ধ;
পাবলিক লাইব্রেরির তাকে তাকে সাজানো বইগুলো পাঠকের অপেক্ষায় উদগ্রীব।
পার্কের সদর দরজায় ঝুলছে তালা;
বেঞ্চগুলো অলস সময়ে রোদ পোহাচ্ছে।
জরিনা নামের মেয়েটিও,
বেলি ফুল হাতে দৌড়ে এসে বলে না;
ভাইয়া- ফুল লাগবে, ফুল?
রহিম মিয়ার বাদাম বিক্রি বন্ধ;
চায়ের কেটলি নিয়ে কোথায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছে ছোটন-
কারো জানা নেই।
সংক্রমণ ফুরালে;
আবার আমরা কাঁধে কাঁধ রেখে রাজপথে হেঁটে যাব।
আমাদের দেখে,
জরিনা ছুটে আসবে-
তোমার খোঁপায় বেলি ফুলের মালা পড়াবো বলে।
আমরাও;
বাদাম খেতে খেতে বেঞ্চে বসব;
ছোটনের চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে-
আকাশ দেখব।
এই শহর-
আবারও পুরনো ব্যাস্ততা ফিরে পাবে।