বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকার ধামরাইয়ে জুলেখা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে যাদবপুর উত্তরপাড়া থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ জুলেখার স্বামী মেহেদী হাসানকে (২৭) আটক করেছে।
জুলেখা ঢাকার আশুলিয়ার গোয়াইলবাড়ী গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে। তাঁর বাবার বাড়ির দিকের স্বজনদের অভিযোগ, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। গত বুধবার তাঁকে বাবার বাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।
ধামরাই থানার পুলিশ জানায়, বছর দেড়েক আগে যাদবপুর উত্তরপাড়ার মেহেদী হাসানের সঙ্গে জুলেখার বিয়ে হয়। মেহেদী নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোনো একসময় জুলেখা আত্মহত্যা করেছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় শোবার ঘরের মেঝেতে জুলেখার লাশ পড়ে ছিল। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় পুলিশ মেহেদীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জুলেখার মামা রফিকুল ইসলাম বলেন, জুলেখা তাঁর বোনের একমাত্র সন্তান। এ জন্য বিয়ের পর থেকে মেহেদীর নামে সব স্থাবর সম্পদ লিখে দেওয়ার জন্য জুলেখার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর বোন ও ভগ্নিপতিকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। জমি লিখে না দেওয়ায় জুলেখাকে নির্যাতন করা হতো। এ কারণে তাঁর ভাগনি কয়েক মাস আগে বাবার বাড়ি চলে যান। গত বুধবার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে যাদবপুর নিয়ে যান।
জুলেখার স্বামী মেহেদীর বরাত দিয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মেহেদী ও তাঁর স্ত্রী শোবার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে মেহেদী ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁর স্ত্রী মেঝেতে বসে আছেন। শরীরে হাত দিয়ে বুঝতে পারেন তিনি মারা গেছেন। রাতে কোনো একসময় জুলেখা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। ফাঁসিতে ঝোলার পর ওড়না বা রশি ছিঁড়ে তিনি নিচে পড়ে যান।
ওসি বলেন, জুলেখার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে কি না বা তিনি আত্মহত্যা করেছেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

Share.
Exit mobile version