কানের ময়লা পরিস্কার করার বিষয় প্রশ্ন করার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ড.এস এম খোরশেদ আলম আমাদের জানালেন কানের ময়লা সাফ করার কোনই প্রয়োজন নেই।

আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে কানের ময়লা আপনা থেকেই বের হয়ে যায় । কানের ময়লা ধীরে ধীরে কর্ণ গহবর থেকে এগিয়ে আসে তারপর তা ঝরে পড়ে যায় । এমনটা কেনো হয় তার ব্যাখ্যা দিতে যেয়ে তিনি জানান, আমাদের চোয়ালের হাড়ের সাথে কানের সংযোগ রয়েছে ।

ফলে খাদ্য চিবানো বা নানা কারণে যখনই আমরা কাণ নাড়াচাড়া করি তখনই কানের ভেতরে নাড়া পড়ে এবং জমে থাকা ময়লা ধীরে ধীরে বাইরের দিকে আসতে শুরু করে । একই সাথে কর্ণ-কোষ বৃদ্ধি পায় এবং ময়লাকে বাইরের দিকে ঠেলে দেয়। সব মিলিয়ে কান পরিস্কার করার কোনো দরকার পড়ে না ।

বরং কান পরিস্কার না করলেও তা সবচেয়ে বেশি পরিস্কার থাকে। অন্যদিকে কান পরিস্কার করা হলে কানে ফোঁড়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া কান পরিস্কার করার সময় ময়লাকে আরো ভেতরে ঠেলে দেয়া হতে পারে তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে ।

অথবা পরিস্কার করতে যেয়ে কানের পর্দায় খোচা লাগতে পারে বা কানের ভেতরের ত্বক ছিড়ে যেতে পারে যা বিপদের কারণ হয়ে দেখা দেবে। তবে কান পরিস্কার করার প্রয়োজন না থাকলেও কানে তেল, সরিষা নারিকেল বা অলিভ তেল দেয়া যেতে পারে । এ সব তেল কানের ময়লা বের করতে সাহায্য করে। কানের খইল দুই রকমের হয় সে কথা একটু আগেই বলা হয়েছে।

কানের এই শুকনা খইল যাদের তারা যদি অলিভ ওয়েল বা অন্য কোনো তেল কানে দেন তবে তাতে উপকার হবে । এ ছাড়া কানে পানি ঢুকলে তেমন কোনো সমস্যা হয়না ।

তা বের করারও কোনো প্রয়োজন নেই বলে তিনি আমাদের সাথে আলোচনার সময় মন্তব্য করেছেন । এ সর্ম্পকে আমরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেহের অন্য কোনো স্থানের চেয়ে কানে উষ্ণতা বেশি কাজেই যদি কোনো ভাবে পানি কানে প্রবেশ করে তবে তা কান থেকে বাষ্প হয়ে বের হয়ে যাবে। কানে পানি ঢুকলেও তা থাকতে পারে না। এ ছাড়া বাচ্চাদের কানে ময়লা জমে ব্যথা হয় বলে অনেকে বলে থাকেন ।

এমন কথাও সাধারণত সত্য নয় । বাচ্চাদের কানে ব্যথা হয় ভিন্ন কোনো কারণে। তবে কোনো কোনো সময় ময়লা জনিত কারণে কানে ব্যাথা হতে পারে । তবে সে জন্য ময়লা পরিস্কার করতে হলে তা করতে হবে একজন নাক কান গলার বিষেশজ্ঞ চিকিৎসককে। সে কাজ ঘরে করে কোনো ফয়দা পাওয়া যাবে না।

একই ভাবে কোনো কোনো সময় কানের ময়লা অনেকের জন্য সংকটের সৃষ্টি করে। সে ক্ষেত্রে কানের ময়লা বা খইল সরানোর প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
তথ্য সংগ্রহঃ শাহজাহান সরকার

Share.
Exit mobile version