১|নির্বাসিত শ্রাবণ
“”””””””””””””
জেনিফার স্মৃতি
বাস্তবে পৌঁছাতে গিয়ে, কেটে গেল
সহস্র স্বপ্নগ্রস্ত রাত!
বৃষ্টির শব্দ যেন শুধুই ঘুমের মন্ত্র
প্রেমিকার কবিতা লেখা হাত
মেঘের কালো মাপতে জানেনা আর,
এই আষাঢ়ের ভিন্ন স্বাদ,
মন ভিজেনি এতটা জলেও,
জানালা আড়াল করে ভিজছে
শহুরে আঁধার।
হৃদয় পাড়ে দারুণ ক্ষরা
শুকনো সুর গলা ছাড়ে,
হাত লেগে বেজে ওঠে
স্মৃতির ছেড়া তার
ঘুমের ঘোরে ডুবতে থাকি
পরিচিত স্বপ্নের গভীরে
পুরানো অভ্যেস বসত
রাতের আঁচলে জেগে ছিল
কৌতূহলী জোনাক,
পাশের বাড়ীর গোপন গল্পটাও
পাথুরে সময় কেটে বেশ পরিপক্ক
কেমন করে কেটে গেল এতটা শ্রাবণ!
আমি,তুমি,এমন কি ওরাও
আর কান পাতেনা,দেয়ালে
এখন আমি অনেক দূরে থাকি
মেঘ ইচ্ছে হলেও ছুঁতে পারেনা আমায়।
সমীকরণ
“”””””””’
জেনিফার স্মৃতি
জোৎস্না ভেজা রাতের
মহাসড়কে এক অবাক ম্যারাথন
হাত হতে হাতে গল্পের মশাল,
চেনা অচেনা গল্পের ব্যর্থ প্রলাপ
কেমন করে মিশে একাকার,
আমার,তার,আর তৃতীয় পুরুষের গল্পে,
নিঃশব্দে ছুটে চলছে লোক হতে লোকে,
মৃদু সংগীতে এক গভীর সংক্রমণ
চোখের কাজল হতে বুক পকেটের রুমালে,
জন্ম নেয় কত জীবন্ত উপন্যাস।
রাতের ধারাপাতে অগণিত
নক্ষত্রের নামতা,
পা হতে পায়ে বেড়ে চলেছে
অসমাপ্তির পরিধি
জেগে থাকা চোখগুলি স্বপ্নের বদলে
জ্বালিয়ে রেখেছে তীব্র জীবন বোধের আলো
প্রতিটি মুখ খুব অস্পষ্ট, তবু
অশ্রুজলের ঠিকানা আমার বড় চেনা
ভোর হলেই ধুয়ে যাবে
অতীত কবিতার ছায়,সুগন্ধি
আতরের কিংবা কস্তূরী মৃগের মত
অথবা স্বর্গীয় অবয়বে
দু ঠোঁটের জানালা জড়িয়ে
আশ্রয় পাবে কৃত্তিম উজ্জ্বলতা।