Print Friendly, PDF & Email

রাঙাপ্রভাত অনলাইন ডেস্কঃ কোভিড-১৯ এর জন্য বাংলাদেশে আটকা পড়েছেন প্রায় ১২ হাজারের মতো ইতালি প্রবাসী। এদের অধিকাংশ গত বছর শীতের মৌসুম শুরু হওয়ার আগে অক্টবরে কিংবা ডিসেম্বরের দিকে বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাদের ফেরার কথা ছিল শীত শেষ হওয়ার পর কিংবা ইতালির বসন্তকালে।
গ্রীষ্মের শুরুতেই ইতালিতে প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত শ্রমিকের। আর সেই মৌসুমী শ্রমিকদের একটা বিরাট অংশ বাংলাদেশিরা; বিশেষ করে পর্যটন শিল্প এলাকাগুলোতে বাংলাদেশের কাজের ক্ষেত্রসমূহ বিস্তৃত।
গ্রীষ্ম ও পর্যটনকে কেন্দ্র করে ইতালিতে রয়েছে প্রায় ১৬ হাজারের অধিক বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর এই সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনেক মালিক শ্রমিক এবং কর্মে নিয়োজিত অনেকেই বাংলাদেশী এবং তাদের মধ্যে একটা বিরাট অংশ রীতিমতো শীতকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের যান এবং শীত শেষ হওয়ার সাথে সাথে ইতালিতে ফিরে এসে নিজের কর্মে নিয়োজিত হন।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের প্রবেশে সুখবর
ইতালিয়ান সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইতালিতে আর পুরোপুরি লকডাউন করা হবে না।
বাংলাদেশি যাদের পরিবার-পরিজন, স্বামী-স্ত্রী কিংবা সন্তান ইতালিতে রয়েছে তারা সহজেই প্রবেশ করতে পারবেন দেশটিতে। আর অন্যদের ক্ষেত্রে তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে তার প্রয়োজনীয়তার কথা ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করতে হবে। তবে সবারই জন্য ইতালিতে প্রবেশ করতে হলে একটা ঘোষণাপত্রে নিজের কর্মস্থান, যেখানে আসার পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন সেই জায়গার কথা এবং নিজের বাসার ঠিকানা ও ফোন নাম্বার উল্লেখ করে এয়ারপোর্টে জমা দিতে হবে। অনলাইনেও পূরণ করা যাবে তথ্যপত্র।
এসময়ের মধ্যে যাদের ইতালিতে রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদেরকে অ্যাম্বাসি থেকে ভিসা নিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করতে হবে। আর তাতে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন অনেক প্রবাসী।
ইতালির সরকারের সর্বশেষ ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী জোসেফ কন্তে ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি দি মাইও ইতালি ভ্রমণ ও আগামী দিনে লকডাউন এর মত কর্মসূচিতে সরকারের চিন্তার কথা জানিয়েছেন।

Share.
Exit mobile version