স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।। পাবনার সুজানগর উপজেলার মোবারক পুর গ্রামে শুক্রবার ১৮ সেপ্টেম্বর শুভ বিবাহের দিন ধার্য্য হওয়ায় আত্বীয় পরিজনের দাওয়াত সহ বিয়ের যাবতীয় প্রস্তুতির শেষ কিন্তু শুভ দিনের সূর্য উদয়ের পূর্বেই নেমে এলো শোকের ছায়া।
পরিবার সুত্রে জানাযায় শুক্রবার ভোরে ঘরের বাহির থেকে বর পরিবারের লোকজন নাম ধরে অনেক্ষন যাবত ডাকতে থাকলে কোনো সাড়া পাওয়ায় সন্দেহজনক ভাবে টিনসেট ঘরের পেঁয়াজের চাতাল বরাবর বেরা কেটে তার চাচা শিক্ষক আঃ বাতেন মোল্লা ঘরে ঢুকলে দেখতে পায় তার ভাতিজা গলায় গামছা পেঁচানো অবস্হায় ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে।সে দ্রুত গামছা কেটে নামিয়ে আনলেও ততক্ষণে আর বেঁচে নেই।

নিহত রাজিব মোল্লা (২৭) মোবারক পুর গ্রামের মৃত আঃ মান্নান মোল্লার একমাত্র ছেলে ।
পরে পুলিশে খবর দিলে আমিন থানার এ এস আই ও ওসি (তদন্ত) পুলিশ কনস্টেবল সহ আসলে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হলে নিজ বাড়িতে এনে বাদ মাগরিব জানাযা শেষে স্হানীয় কবরস্হানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য নিহত রাজিবের পরিবার সুত্রে জানায় নিজের ঘরে রাত ১২টার দিকে একাই ঘুমাতে যায় পরে রাজিবের নিকট রাত ২ টা ও ৪ টার দিকে হবু শশুরবাড়ির লোকেরা ফোন করে জানায়,তোমার সাথে যে মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে সে মেয়েটি অন্য ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে।ধারনা করা হচ্ছে এ রকম সংবাদের ভিত্তিতে তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে পরিবারের লোকজন অভিমত।
তার বিয়ে ঠিক হয়েছিলো বেড়া উপজেলার চাকলা গ্রামে।
স্হানীয় লোকজন এবং পরিবার সুত্রে জানায় নিহত রাজিব তাঁর মায়ের গর্ভে যখন সাত মাসের প্রথম সন্তান হিসাবে ছিলো তখন তার পিতা আঃ মান্নান মোল্লা মারা যায়। মা একমাত্র ছেলেটির মুখের দিকে তাকিয়েই দ্বিতীয় সংসার বাধেন নাই এতোদিনও তার মা । এখন তার মায়ের শশুর বাড়ি কুলের আপন বলতে আর কেহ রইলো না।

Share.
Exit mobile version