লোহার পিঞ্জর
– ভীষ্মদেব বাড়ৈ
না এ ঘরে কোন দরজা ছিলো না কোনদিন,
লোহার কারিগর এসে এ ঘরের চোখ দুটি বন্ধ করে দিলো একদিন।
তারপর বহুদিন পর একদিন
এ পথ দিয়ে যেতে যেতে তুমি, ঘরের মধ্যে দীপের আলো দেখে জাহাজ থামালে,
ভিনদেশী কোন সওদাগর।
আমার হাত-মুখ বাঁধা ছিলো অবরুদ্ধ ঘরে,
কাছে আসতেই আঁধার ভেঙে আলো ঠিকরে পড়লো তোমার মুখের উপর,
আলোর সাথে কি দারুন হাসলে তুমি!
আমাকে মুক্ত করলে,
পতপত ছেড়ে দিলে যুক্ত আকাশে।
একটি উড়াল দিয়ে অমল গহনে- আমি আবার ফিরে এলাম তোমার কাছে,
তোমাকে পাবার পরে মুক্তির স্বাধীনতা আর একটুও ভাল লাগে না,
যে মানুষটি মুক্ত, আজ হতে তার কাছে থেকে যেতে চাই।
আমাকে নেবে কি নাবিক?
কেউ শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে ঘরে,
কেউ কেউ কাঁদে অবসরে,
কেউ না বেঁধেই কতো পাখি রেখে দিতে পারে বুকের ভিতর,
কেউ বাঁধে মেঘে মেঘে ঘর।