নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আমীনুল ইসলাম এর মোবাইল কোর্টের অভিযানে উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের দোয়ারিকা গ্রামে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চলন্ত বাল্যবিবাহ বন্ধে করে দেয়া হয়েছে।
যায়না গেছে, সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের দোয়ারিকা গ্রামের মোঃ আব্দুল ছত্তার হাওলাদার এর অপ্রাপ্ত বয়স্কা স্কুলে পড়ুয়া কণ্যা মুনিয়া আক্তার (১৬) এর বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছে এর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে মোবাইল কোর্টসহ ইউএনও মোঃ আমীনুল ইসলাম উপস্থিত হন এবং দেখতে পান যে, বাল্যবিবাহ উপলক্ষে শত শত মেহমান উপস্থিত রয়েছ।
মোবাইল কোর্টের অভিযানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কনের জন্মসনদ দেখতে চাইলে একটি জাল জন্ম নিবন্ধন মুনিয়ার পিতা মোঃ আঃ ছত্তার হাওলাদার ও মাতা রেবা বেগম প্রদর্শন করেন। এ জন্ম নিবন্ধনটি অন-লাইনে যাচাই করে এর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি।
মোবাইল কোর্ট চলাকালীন মুনিয়ার পিতা-মাতা স্বীকার করেন যে, তাদের অপ্রাপ্ত বয়স্কা কণ্যা মুনিয়া আক্তারকে বাল্যবিবাহ দেয়ার উদ্দেশ্যেই তারা এ জাল জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করেছেন।
মোবাইল কোর্টে তারা স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে বাল্যবিবাহ আয়োজনের জন্য কৃত অপরাধ স্বীকার করায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুযায়ী মোঃ আঃ ছত্তার হাওলাদার ও রেবা বেগমকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। তারা তাৎক্ষণিক অর্থদণ্ড পরিশোধ করায় তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।
বাল্যবিবাহের কণে মোসাঃ মুনিয়া আক্তার, তার পিতা মোঃ আঃ ছত্তার হাওলাদার ও মাতা রেবা বেগম এর নিকট হতে বাল্যবিবাহ নিরোধ বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী মুচলেকা গ্রহণ করা হয়েছে। এ মুচলেকায় তারা অঙ্গীকার করেছেন যে, মোসাঃ মুনিয়া আক্তার এর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তার বিবাহ সম্পন্ন করবে না। এ সময় সকল মেহমানকে আয়োজিত বাল্যবিবাহ সংশ্লিষ্ট স্থান ত্যাগ করার জন্য বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ দিলে তারা সকলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
মোবাইল কোর্ট চলাকালীন বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আকন, রহমতপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতিতে বিবাহের প্যান্ডেল ও অন্যান্য স্থাপনা তাৎক্ষণিক অপসারণ করা হয়।