নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের বিকল্প দেশগুলো থেকে পৌনে ৬ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিশর, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছেন তারা। ঋণপত্র খোলার পর এসব পেঁয়াজ কনটেইনারবাহী জাহাজে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে করে সমুদ্রপথে আনা হবে চট্টগ্রাম বন্দরে। বিকল্প দেশের বন্দরে জাহাজে বোঝাই করার পর পেঁয়াজ আমদানিতে দেশভেদে ন্যূনতম ১৫ থেকে এক মাস সময় লাগতে পারে বলে জাহাজ কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে এসব পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেন ব্যবসায়ীরা। এত কম সময়ে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি সংগ্রহে এটি রেকর্ড বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অক্টোবরের শুরু থেকে এসব পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার পর থেকেই এ মাসের শুরুতে ব্যবসায়ীরা বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেওয়া শুরু করেন। এ মাসের শুরু থেকে ভারত রপ্তানি বন্ধের দিন (১৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা দুই লাখ ২৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেন। রপ্তানি বন্ধের পর রোববার পর্যন্ত চার কর্মদিবসে আরও সাড়ে তিন লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেন তারা।

অর্থাৎ এ মাসের ২০ দিনে মোট ৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী। এর মধ্যে গত ১৭ সেপ্টেম্বর একদিনে সর্বোচ্চ বা এক লাখ ৫৮ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন দুই শতাধিক ব্যবসায়ী। মোট ৮৩৫টি চালানে এসব পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনার কথা রয়েছে। এ সপ্তাহেই আমদানি অনুমতির পরিমাণ ৬ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

ঢাকার অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের পরিচালক কৃষিবিদ মো. আজহার আলী বলেন, যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেওয়া হয়েছে তা রেকর্ড। এই পেঁয়াজ আমদানি হলে বাজার সয়লাব হয়ে যাবে। কোনো সংকট থাকবে না।

Share.
Exit mobile version