রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রাম থেকে শুক্রবার সকালে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মোঃ নুরজামাল মোল্লা (৩৯) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে আমতলী থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও আমতলী থানা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের আলতাফ হোসেন মোল্লার পুত্র নুরজামাল মোল্লা রুপক নামের একটি এনজিওতে চাকুরী করতো। প্রায় এক বছর পূর্বে সে এনজিওর চাকুরী ছেড়ে বাড়ীতে সাংসারিক কাজ কর্ম করতো। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে নুরজামাল বাড়ী থেকে বের হয়ে আর বাড়ী ফেরেনি। বাড়ীর কারো সাথে কোন প্রকার যোগাযোগও করেনি। তার কোন খোঁজ না পেয়ে স্বজনরা তাদের আত্মীয় স্বজন ও বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তার কোন সন্ধান পায়নি।
শুক্রবার সকালে নুরজামাল মোল্লার বাড়ীর পুকুর পাড়ের একটি গাছের সাথে গলায় তোয়ালে প্যাচানো ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার মরদেহ স্বজনরা দেখতে পায়। নুরজামালের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ ও পরনের কাপড় চোপড়ে রক্তমাখা রয়েছে বলে জানান প্রত্যাক্ষদর্শীরা। পরিবারের দাবী নুরজামালকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।
খবর পেয়ে এএসপি (সার্কেল) সৈয়দ মোঃ রবিউল ইসলাম, আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার ও ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
স্ত্রী লাইলি বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ১২ টার দিকে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। এরপর আর বাড়ী ফিরে আসেনি। আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তাকে পাইনি। আজ সকালে আমি পুকুরে থালাবাসন ধৌত করতে গেলে গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তাকে দেখতে পাই। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।
এএসপি (সার্কেল) সৈয়দ মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share.
Exit mobile version