বিশেষ প্রতিনিধি।।দেশে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত চালের মজুত থাকলেও সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বারবার চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে। গত দুই-তিন দিনের ব্যবধানে রাজধানীসহ সারা দেশে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর চার দফা বাড়ল চালের দাম।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মূলত মিলার বা মিল-মালিকদের কারসাজিতেই বারবার চালের দাম বাড়ছে। দেশে চালের সবচেয়ে বড় মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর। এই মোকামের চাল মিলারদের গত বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে ডেকে হঠাত্ আবার চালের দাম বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন চালকল মালিকদের বলেন, আপনারা খেয়াল-খুশিমতো চালের দাম বাড়িয়ে সরকার ও প্রশাসনকে বিব্রত করার অপচেষ্টা করবেন তা সহ্য করা হবে না। হঠাত্ কি কারণে চালের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা চায় জেলা প্রশাসন। এ সময় ইচ্ছামতো চালের দাম বৃদ্ধি করায় চালকল মালিকদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুষ্টিয়ার এই মোকামে প্রতি কেজি মোটা চালে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে এই মোকামে মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে। এছাড়া মিলগেটে মিনিকেট, পাইজাম, কাজললতা ও বাসমতি চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে মিনিকেট ৫৫ টাকা, কাজললতা ৪৭, বাসমতি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোকামে দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়ছে সারাদেশে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর খুচরাবাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়ে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা ২ টাকা বেড়ে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও সরু চাল মিনিকেট/নাজিরশাইল ৫৪ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়।
সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে মোটা চালের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এ সময় স্বল্প আয়ের মানুষের এই চালটির দাম বেড়েছে ২৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা বেড়েছে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর নাজিরশাইল/মিনিকেটের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ।