বিশেষ প্রতিনিধি।। দেশের উত্তরাঞ্চলে আগের বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন করে পানি ওঠায় এমনিতেই দিশাহারা মানুষ। এর ওপর টানা বৃষ্টি বন্যার্তদের দুর্ভোগ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে অব্যাহত বর্ষণে শ্রমজীবীদের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রংপুরে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গত শনিবার রাতে। এতে নগরেই পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় এক লাখ মানুষ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে রেকর্ড ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার কালের কণ্ঠ’র প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত—

ঠাকুরগাঁওয়ে টাঙ্গন, সুক ও সেনুয়ার পানি বৃদ্ধি : কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন, সুক ও সেনুয়া নদীর পানি বেড়েছে। এতে নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। বাড়িঘরে পানি ওঠায় অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। অব্যাহত বর্ষণে শ্রমজীবীদের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। সরকারি ত্রাণ সহায়তার দাবি জানিয়েছে তারা; যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।

পৌর শহরের টাঙ্গন নদের ধারের জলেশ্বরীতলার বাসিন্দা আল আমিন জানান, তাঁদের এলাকাটি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি ঢুকে পড়ে। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে আছেন তাঁরা। একই এলাকার মোহাম্মদ সুমন জানান, বাড়িঘরে পানি ওঠায় গবাদি পশু পার্শ্ববর্তী গোবিন্দনগর গ্রামে আত্মীয়র বাড়িতে রেখে এসেছেন। কাজে যেতে না পারায় খুব কষ্টে রয়েছেন।

নীলফামারীতে কমছে তিস্তার পানি : বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও নীলফামারীতে কমেছে তিস্তা নদীর পানি। গতকাল রবিবার বিকেল ৩টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপত্সীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই পয়েন্টে নদীর পানিপ্রবাহ ছিল বিপত্সীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপরে। তিস্তায় পানি বাড়ায় বৃহস্পতিবার জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি চরাঞ্চলের ছয় হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

Share.
Exit mobile version