বিশেষ প্রতিনিধি।। কৌশলে পিন নম্বর জেনে বিকাশ অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করে গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি চক্রের নয় সদস্যকে ঢাকা ও ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের সদস্যরা।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রানা খান, মো. লিটন, মো. নয়ন শেখ, মো. টিটু মোল্লা, মো. সালমান মোল্লা, আকাশ শেখ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. রহিম ও মো. তানজিল। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি আইফোনসহ ১০টি মোবাইল ফোন, ৩৭টি সিম কার্ড ও একটি প্রোভক্স গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

এই কাজের জন্য প্রতারকরা ঢাকা ও ফরিদপুর মিলিয়ে একটি বিরাট চক্র গড়ে তুলেছে বলে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই চক্রের সদস্যদের মধ্যে একজন কৌশলে বিভিন্ন বিকাশের দোকানের ক্যাশ ইন রেজিস্ট্রার খাতার নম্বর লেখা পাতার ছবি তুলে নিতেন। এরপর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফরিদপুরের মধুখালী থানার ডুমাইন গ্রামে থাকা ‘হ্যাকারদের’ কাছে পাঠিয়ে দিতেন। প্রতিটি পৃষ্ঠার জন্য ৩০০ টাকা করে পেতেন তিনি।

তারা ছবির নম্বর দেখে বিকাশের এজেন্ট সেজে গ্রাহককে বিভিন্ন অপারেটরের সিম থেকে ফোন দিয়ে বলতেন, তার দোকান থেকে ভুলে কিছু টাকা চলে গেছে। তখন কৌশলে তার মোট ব্যালান্স জেনে নেন এবং বলেন তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীর একাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বিকাশ অফিস থেকে তাকে ফোন দেওয়া হবে। এরপর ‘ট্রু কলার’ ব্যবহার করে ভুক্তভোগীর নাম জেনে নেন তিনি।

কিছুক্ষণের মধ্যে ‘হ্যাকার’ বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে বিকাশ অফিসের নাম করে বিকাশ সেন্টারের মূল নম্বরের সদৃশ নম্বর থেকে ভুক্তভোগীকে ফোন দিতেন। তখন +০১৬২৪৭ থেকে কল আসে। ওই ব্যক্তি ভুক্তভোগীর নম্বরে একটি ওটিপি পাঠাতেন এবং অ্যাকাউন্ট ফের সচল করার জন্য ওটিপি ভুক্তভোগীর কাছে জানতে চাইতেন। তার নাম ও সর্বমোট ব্যালান্স বলে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেন। এ সময় কৌশলে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে পিন নম্বর জেনে নেন তিনি।

এরপর তার বিকাশ অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন ওই হ্যাকার। ভিকটিমের অ্যাকাউন্টের টাকা বিভিন্ন এজেন্ট পয়েন্টে পাঠিয়ে দিয়ে হ্যাকারদের মনোনীত ব্যক্তির মাধ্যমে টাকা ক্যাশ আউট করে নিতেন। এজন্য তাদেরকে প্রতি হাজারে ১০০ টাকা করে দেওয়া হত।

বিকাশ প্রতারণার ঘটনায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভাটারা থানায় একটি মামলা হয় বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার।

এদিকে গত বুধবার ৩০ সেপ্টেম্বর পাবনার সুজানগরের বিরাহিমপুর এলাকায় বেশ কয়েকজনের বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে হ্যাকার বাহিনির সদস্য। প্রথমে গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টে ৬৫০০=/ টাকার একটি ভুয়া ম্যাসেজ দেয়

এই ফোন নম্বর থেকে (০১৮১৭৯৩৭০৬৩) গ্রাহকের নিকট সংগে সংগে সরাসরি ফোনে জানতে চায় আপনার বিকাশে টাকা পাঠানো হয়েছে।
আপনাকে এর আগেও ২৫০০/= টাকা দেয়া হয়েছে সরকারি অনুদান।এরুপ অনুদান প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের নিকট বেশি পরিমান ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে এমন গ্রাহকগণ না বুঝতে পেরে অন্য মোবাইল গ্রাহকের কাছে নিয়ে যায় এবং তাদের সাথেও একই পন্হা অবলম্বন করে প্রতারণ সদস্যরা। প্রতারকের নিকট জানতে চাইলে বলে এল, জি, আর, ডি অফিস থেকে বলছি।বলে মুল একাউন্টে জমা হতে বিকাশ সেট করতে হবে তখন নিম্নের এ রকম পর পর ৩ টি

ম্যাসেজ পাঠায় এবং ম্যাসেজের ভিতরে ও টি পি নাম্বার জানতে চায়।নাম্বার গুলো জানানোর সাথে সাথেই গ্রাহকের বিকাশ নাম্বার হ্যাক হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিকাশ হেল্প লাইনে ফোন দিলে গ্রাহকের আই ডি নাম্বার নিজের নাম পিতার নাম মাতার নাম সহ অন্যন্য তথ্য জানতে চায় কিন্তু সমস্ত কিছুর সঠিক উত্তর দিলেও কোনো তথ্যর মিল নেই বলে জানিয়ে দেয় বিকাশ কাষ্টম কেয়ারের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে নিকটতম কাষ্টম কেয়ারে যাবতিয় তথ্যের নথিপত্র সহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলেন।লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানায় জিডির কাগজপত্র সহ জমা দিতে বলেন কাশিনাথপুর বিকাশের কাস্টম কেয়ার।হ্যাকার কতৃক হ্যাকের টাকা কত ভগ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানতে চাইলে “দৈনিক রাঙা প্রভাত” কে জানান শতকরা ১ ভাগ আশাকরা যায়।

Share.
Exit mobile version