বিশেষ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি পঞ্চম দফা বেড়ে ফের বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে জেলার পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বাড়ার ফলে জেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। দফায় দফায় বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে যমুনা তীরের মানুষ।

দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন মাস বন্যার কারণে কৃষকের প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির ধান, পাট, সবজি, বাদাম ও মরিচ নষ্ট হয়ে গেছে। পুকুরে পানি প্রবেশ করায় মৎস্যজীবীরাও বিপুল ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ জেলার প্রায় ৪০ হাজার তাঁতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো তাঁততগুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় তাঁতের সরঞ্জাম নষ্ট হওয়ায় তাঁত প্রতি প্রায় ২০-৩০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় হাজার হাজার শ্রমিক বেকার জীবন কাটাচ্ছে।

বন্যা কবলিতদের মধ্যে খাদ্য ও ঔষুধের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে পানি বাড়ায় যমুনার অরক্ষিত অংশে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এনায়েতপুর ও চৌহালীতে প্রতিদিন বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি বসতভিটা।

কৃষক আবু তালেব জানান, তৃতীয় দফা বন্যার পর আমন ধান-মরিচ রোপণ করেছিলেন। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম দফা বন্যায় সেগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে কীভাবে দিন কাটাবে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী একে এম রফিকুল ইসলাম জানান, এত দীর্ঘ সময় বন্যা আগে হয়নি। এবারের বন্যায় মানুষের চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি স্থিতিশীল হতে পারে।

Share.
Exit mobile version