নিজস্ব প্রতিবেদক।। এতোদিন গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্যাক্স টোকেন, হালনাগাদ ফিটনেস সনদের পাশাপাশি ইন্স্যুরেন্সও রাখতে হতো চালকদের। তবে নতুন সড়ক আইনে ইন্স্যুরেন্সের বাধ্যকতা রাখা হয়নি। ফলে ইন্স্যুরেন্স না থাকলেও মোটরযান চালানো যাবে এবং এই অপরাধে পুলিশ কিংবা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত কোনো মামলা দিতে পারবে না।

বিআরটিএ এক স্মারকলিপিতে জানিয়েছে, মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক ছিল এবং এর অধীনে ১৫৫ ধারায় দণ্ডের বিধান ছিল। তবে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ধারা ৬০-এর উপ-ধারায় (১), (২) ও (৩) অনুযায়ী এটি বাধ্যতামূলক নয়।তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা না থাকলে সংশ্লিষ্ট মোটরযান বা মোটরযানের মালিকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী কোনো মামলা দেয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকে অনুরোধ করে বিআরটিএ।

বিআরটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হয়েছে ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে অনেকের স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় এখনো এই অভিযোগে মামলা দেয়া হচ্ছে। বিষয়টির সুরাহা চেয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর বিআরটিএতে একটি আবেদন করেন একজন পরিবহন মালিক। এছাড়া ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিও একই বিষয়ে বিআরটিএর কাছে আবেদন করে।

বিআরটিএর হিসাবে ২০২০ সালের অগাস্ট পর্যন্ত সারা দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৪৫ লাখ ২৩ হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৫৫৯টি মোটরসাইকেল, যা যানবাহনের মোট সংখ্যার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ।

Share.
Exit mobile version