রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলকে ভয়ঙ্করভাবে ধ্বংসের হুঁশিয়ারি দিল ইয়েমেনের জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী। সংগঠনটির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহর আমলে ইসরায়েল প্রায় সময়ই ইয়েমেনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করত।

রাজধানী সানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেনারেল সারিয়ি এসব কথা বলেন। তার মতে, ইসরায়েলের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সৌদি আরব এবং তার কয়েকটি মিত্রদেশ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়েছে।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জেনারেল সারিয়ি বলেছেন, ইয়েমেন বহুদিন ধরেই ইসরায়েল ও আমেরিকার ষড়যন্ত্রের প্রধান লক্ষ্যবস্তু এবং চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে পরিষ্কারভাবে তা প্রমাণিত হয়েছে। এমন অবস্থায় ইয়েমেনে সামরিক বাহিনী দেশের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যেন তারা বিদেশিদের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে সবসময় সতর্ক থাকেন।

তিনি বলেছিলেন, আমাদের সংগ্রাম কোনো কিছুর জন্য নয় শুধুমাত্র মুক্তি এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য।জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি সুস্পষ্ট করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আলী আব্দুল্লাহ সালেহ সরকারের গোপন সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ক ছিল ২০০০ সালের আগে থেকে, এমনকি দুইপক্ষের মধ্যে গোপন সফরও বিনিময় হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল সারিয়ি গোপন কিছু ডকুমেন্ট তুলে ধরে বলেন, এগুলোর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় ইসরায়েল শুধু বাবুল মান্দেব প্রণালির নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়নি বরং তারা ইয়েমেনের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, নিরাপত্তা এবং সামরিক খাত নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল।

জেনারেল সারিয়ি বলেন, সালেহ সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া অনেক আগে শুরু করেছিল এবং ২০০৭ সালে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে। ওই বছরের ১৪ জুলাই ইসরায়েলের কূটনীতিক ব্রুস কাশদান দু’দিনের অঘোষিত সফরে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় আসেন এবং ইসরায়েলের এ কূটনীতিক ইয়েমেনের শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন যারা সবাই ছিলেন সালেহর আত্মীয়।

হুথি বাহিনীর এই জেনারেল জানিয়েছেন, ইসরায়েলের ওই কর্মকর্তা ১৬ জুলাই সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে দেশে ফিরে যান। এই সফর ইয়েমেনের সরকারি কর্মকর্তাদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে। এর আগে ইসরায়েলের ওই কূটনীতিক ২০০৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ইয়েমেন সফর করেছিলেন।

Share.
Exit mobile version