রাঙা প্রভাত ডেস্ক।। গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি অঙ্গরাজ্যে করোনা সংক্রমণের রেকর্ড ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা দেওয়া এসব রাজ্যের বেশিরভাগ মধ্য-পশ্চিম কিংবা পশ্চিমের; যেখানে ঠান্ডা মোটামুটি জেঁকে বসতে শুরু করায় সংক্রমণ বাড়ছে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শুধু গত শনিবারই কেন্টাকি, মিনেসোটা, মন্টানা এবং উইসকনসিন- এই চার অঙ্গরাজ্যে নতুন করে মহামারি করোনা সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। একই দিনে দেশজুড়ে আরও ৪৯ হাজার কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে; যা গত সাত সপ্তাহের মধ্যে যে কোনো শনিবারের চেয়ে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড। এ ছাড়াও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড সংক্রমণ দেখা গেছে কানসাস, নেব্রাস্কা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, সাউথ ডাকোটা এবং ওয়োমিংর মতো অঙ্গরাজ্যগুলোতে।
দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে গত দুই সপ্তাহে সংক্রমণ বাড়েনি ১৮টিতে। এর মধ্যে একটি হলো নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। এরপরও নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি বস্নাসিও রোববার আশপাশের ৯টি এলাকায় অপ্রয়োজনীয় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং স্কুল বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। গভর্নরের অনুমোদন পেলে বুধবার তা কার্যকর হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে আসছেন, ঠান্ডা আবহাওয়া দেখা দিলে মানুষের মধ্যে করোনার বিস্তার বাড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের একেবারে মধ্য-পশ্চিমের রাজ্যগুলোতে এখন দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত চার দিনের মধ্যে তিনদিনই করোনার রেকর্ড সংক্রমণ হয়েছে মন্টানা অঙ্গরাজ্যে। এছাড়া রাজ্যটিতে হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে। গত তিনদিনের মধ্যে দুইদিন রেকর্ডসংখ্যক রোগী আক্রান্ত হয়েছে উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে। শনিবার সেখানে হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগী ভর্তিরও রেকর্ড হয়েছে। সেখানে নমুনা পরীক্ষা হওয়ার প্রতি একশ জনের মধ্যে ২২ জন মহামারি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হচ্ছে; যা দেশটিতে সর্বোচ্চ সংক্রমণের হার।
মাথাপিছু নতুন সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে নর্থ ডাকোটা, সাউথ ডাকোটা এবং উইসকনসিন। যুক্তরাষ্ট্রে এখন গড়ে প্রতিদিন আক্রান্ত ৪২ হাজার ৬০০ এবং ৭০০ মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে। অথচ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিও এই গড় ছিল যথাক্রমে ৩৫ হাজার এবং ৮০০। সংক্রমণ বাড়ছে মৃতু্য বাড়বে বলেই শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। উলেস্নখ্য, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে সবচেয়ে পর্যুদস্ত অবস্থায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু আক্রান্ত নয়, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।