অহংকার
……………রিনি খানম…………
বড় ব্যবসা, বড় চাকরি
ভাবছো তুমি করো,,
সবই তোমার বিফলে যাবে
আজ ই যদি মরো।।
অবহেলা হয়তো করো মোরে
ছোট চাকরি করি তাই,,
মিলিয়ে তুমি দেখতে পারো
রক্তে কিন্তু ভেদাভেদ নাই।।
হতাম যদি বড় অফিসের কোন
আমি একজন বস,,
আমায় খুঁজে বলতে কথা
থাকতোও তাতে জস।।
টাইটানিক বানিয়ে বলেছিল সে
কখনও এটা ধ্বংস হবে না,,
আল্লাহ চাইলে সবই পারে
এটাই যে অহংকারের নমুনা।।
যদি তোমারে আপন ভেবে কেউ
করে তবে একটু মনে,,
শত ব্যস্ত থেকেও তুমি একটু
বলিও কথা তার সনে।।
বলছি তোমায় ওরে মানব
কান খুলে তুমি শোনো,,
কাঁদালে যে কাঁদিতে হয় কিন্তু
নিশ্চয়ই এটা জেনো।।
নিজেকে তুমি যেটাই ভাবো, তবে
অহংকার তুমি করিও না,,
করোনায় মরছে অহরহ মানুষ
একথাটি যেন ভুলিও না।।
মানুষকে তুমি মানুষ মনে করিও
খেলনা কভু ভাবিও না,,
সকলের তরে সকলে মোরা
অহংকারে তা ভুলিও না।।।
নিন্দুকের অবসান
.…………..রিনি খানম…………
লোকের কথায় কান দেওয়ার
মানুষ কিন্তু আমি নই,,
হতে পারতাম বড় যদি কেউ, তবে
সেইদিনই হতো তারা সই।।
আমার দোষ যতই খুঁজবে
ঐ সেই নিন্দুকগন,,
ততই যে পরিশুদ্ধ হবে
আমার ছোট্ট মন।।
নিঁখুত হওয়ার চেষ্টা করি
এই আমি সবসময়,,
নিন্দুকের দোষ সরিয়ে তাই
ছিনিয়ে আনি জয়।।
অত সহজ নয়কো নিন্দুকের
ভাঙা আমার মন,,
নিন্দা করতে করতে ঠিকই হবে
তাদের মনের পরিবর্তন।।
যুদ্ধে নেমে কেউ কখনও ভাই
পিছনে তাকায় না,,
লক্ষ্য ছাড়া হারিয়ে যাওয়া
আমার মানায় না।।
সব বাঁধা পার করিয়ে
এগিয়ে যাবো আমি,,
নিন্দুকেরা যতই করুক না কেন
আমার বদনামী।।
অতীত গুলো পিছন ফিরে
চাইবো না আমি আর,,
নিন্দুকেরা যত কথাই বলুক
মানবো না আমি হার।।
বিজয় আমার সামনেই রে ভাই
আর নয়কো বেশি দূরে,,
নিন্দুকেরাও দেখবেন সেদিন
নিবে আপন করে।।
গাইবে তারা আমারই দেওয়া
সুরে তারা গান,,
বলবে সেদিন তারাই কিন্তু মোরে
এগিয়ে যান, এগিয়ে যান।।
নিজেও সেদিন গাইবো যেন
সেই সাম্যের গান,,
হবে যে ভাই সেইদিনই সেই
নিন্দুকের অবসান।।
জন্ম শতবার্ষিকী.
………….রিনি খানম………….
১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ জন্ম
মুজিব তোমার এই দেশে,,
ধন্য করেছো সবারে তুমি
এই পৃথিবীতে এসে।।
টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম তোমার
সে ই গোপালগঞ্জ জেলায়,,
খোকা বলে ডাকতো সবাই
তোমারে ছোট্ট বেলায়।।
মায়ের ভাষার মান রাখতে সদা
লড়ে গেছো তুমি,,
কারাগারে বন্দী থেকেও
রক্ষা করেছো এই ভুমি।।
স্বাধীনতার জন্যও তুমি
সংগ্রাম করেছো কত,,
রেখেছে মনে বাংলার মানুষ
আজকে তোমায় শত শত।।
বাংলার লোকের ভালোবাসায়
“বঙ্গবন্ধু ” হয়েছে তোমার নাম,,
শতবার্ষিকী জন্মতে তোমারে
জানাই মোদের সালাম।।
শতবর্ষ পুর্তিতে তোমার মেয়ে
দেখো,রেখেছে কত কাজ,,
আনন্দের সাথে করছেন দেশে
হরেক রকম সাজ।।
আনন্দ হবে সারাদেশ ময়
এই ছিল সবার পণ,,
হঠাৎ করেই করোনা এসে
করলো নষ্ট সবার মন ।।
শান্তিতে রাখুক পরপারে তোমায়
আমাদের ঐ দয়াময়,,
করবো দোয়া তোমার জন্য
আমরা যেন সবসময়।।
মোনাজাত
––রিনি খানম
তুলে দুই হাত, করি মোনাজাত,
হে রহিম রহমান,,
আমার গুনাহ্ মাফ করে দাও
তুমি আল্লাহ মেহেরবান।।
তুমি হলে সর্বশক্তিমান আর
তুমিই শ্রেষ্ঠ, হে মহান,,
মহামারি এই করোনা থেকে তুমি
বাঁচাও মোদের এ প্রাণ।।
হায়াত, ময়ুত ও রিজিক এ সবই
তোমারই হাতে প্রভূ,,
তুমি ছাড়া এ রোগ থেকে বাঁচাতে
পারবে না কেউ কভূ।।
তুমি মোদের মহান দয়ালু, আর
তুমিই সবার অন্তর্যামী,,
সকল বিপদ পার করে দাও প্রভূ
করছি মোনাজাত আমি।।
শত্রু পক্ষের বিশাল বাহিনীও যে
পারেনি নবীজীকে হারাতে,,
সামান্য ক’জন সৈন্য নিয়ে সেদিন
যুদ্ধে জয়ী হয় তাতে।।
ওহে খোদা, তোমার সেই পাখি
আবাবিলরে ধরায় পাঠাও,,
আমাদের পক্ষ নিয়েই তুমি আজ
এই করোনাকে ঠেকাও।।
তুমি যদি না চাও তো, এটাকে
দমাতে পারবে না কেউ,,
এমন দিনে তোমারে জপছে, দেখো,
কোনদিন জপেনি সে উ ।।
ওগো আল্লাহ, এ বান্দা তোমার
হাত তুলে করছি মিনতি,,
দোয়াটি মোর কবুল করো খোদা
নইলে নাই যে মোদের গতি।।