রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ  হেভি-ডিউটি ট্রাকের ওপর এ ধরণের বিশাল আকৃতির কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয় শনিবার মধ্যরাতে পিয়ংইয়ংয়ের কুচকাওয়াজে

উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার মধ্যরাতের পরপরই পিয়ংইয়ংয়ে যে সামরিক কুচকাওয়াজ হয়েছে তা নজিরবিহীন।

প্রচুর মানুষের অংশগ্রহণে কোনো ভুল-ভ্রান্তি ছাড়াই যে চোখ ধাঁধানো কুচকাওয়াজ হয়েছে, তেমন অনুষ্ঠান আয়োজনে উত্তর কোরিয়ার জুড়ি মেলা ভার।

এ ধরণের ট্রাকে করে উত্তর কোরিয়া এর আগেও তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে, তবে শনিবার ট্রাকের সংখ্যা ছিল বেশি

দু’হাজার বিশ সালের ১লা জানুয়ারিতে কিম জং উন তার নতুন বছরের ভাষণে ঘোষণা করেছিলেন উত্তর কোরিয়া এমন সব অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরি করছে যা শুধুমাত্র “গুটিকয়েক আধুনিক রাষ্ট্রের হাতে রয়েছে।“

তিনি বলেছিলেন, তার সরকার ‘কৌশলগত’ – অর্থাৎ পারমাণবিক – অস্ত্র-সম্ভার তৈরির প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

মি. কিম সেদিন যুক্তরাষ্ট্রর সাথে তার দেশের সম্পর্কের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন।

তিনি বলেন, “ডিপিআরকে‘র সাথে তাদের সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যত টালবাহানা করবে, কালক্ষেপণ করবে, গণতান্ত্রিক কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের শক্তির সামনে তারা আরো বেশি অসহায় বোধ করবে। ডিপিআরকে কল্পনার চেয়েও বেশি শক্তি সঞ্চয় করছে, এবং (সম্পর্কে) অচলাবস্থা যুক্তরাষ্ট্রকে গহ্বরের আরো গভীরে নিয়ে যাবে।

ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার মধ্যরাতে পিয়ংইয়ংয়ে জমকালো সামরিক কুচকাওয়াজ

যে পারমাণবিক মারণাস্ত্রের প্রতিশ্রুতি ১০ মাস আগে মি. কিম দিয়েছিলেন সেটাই নতুন এই আইসিবিএম, এবং এর টার্গেট যুক্তরাষ্ট্র। সম্পর্ক উন্নয়নের প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ার জেরে এমন একটি অস্ত্র অবধারিত ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নতুন হুমকি

উত্তর কোরিয়া এর আগেই দুটো আইসিবিএম পরীক্ষা করেছে। ২০১৭ সালে দুই বার তারা হুয়াসং-১৪ পরীক্ষা করে। পারমানবিক বোমা বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ১০,০০০ কিমি (৬২১৩ মাইল) দূরের লক্ষ্যবস্তু আঘাত করতে সক্ষম।

তার অর্থ, পুরো পশ্চিম ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের অর্ধেক এখন কোরীয় এই পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায়।

ঐ একই বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়া তাদের আরেকটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র হুয়াসং-১৫ পরীক্ষা করে যার পাল্লা ১৩,০০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ এটি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যে কোনো স্থানে আঘাত করতে সক্ষম।

Share.
Exit mobile version