রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ অস্ত্র মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে সোমবার ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইবু্যনালে হাজির করা হয়

অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে সর্বোচ্চ ২০ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইবু্যনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এই রায় দেন।

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯-এর ‘এ’ ধারায় দুজনকে ২০ বছর করে এবং ১৯-এর ‘এফ’ ধারায় দুজনকে ৭ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। দুটি ধারার সাজা একত্রে কার্যকর হবে।

এর আগে রায় ঘোষণা উপলক্ষে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় পড়ার সময় পাপিয়া নীরব ছিলেন। বিচারক যখন তাদের কারাদন্ডের আদেশ দেন তখন পাপিয়া কাঁদতে থাকেন। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়া থেকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যান।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১২ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেছিলেন আদালত।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদন্ড চাওয়া হয়েছিল। গত ২৩ আগস্ট পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

চলতি বছরের ২২ ফেব্রম্নয়ারি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে পাপিয়ার বুকিং দেওয়া বিলাসবহুল প্রেসিডেনশিয়াল সু্যট রুম ও ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট থেকে বিদেশি একটি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২০টি গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, কিছু বিদেশি মুদ্রা, এটিএম কার্ড প্রভৃতি উদ্ধার করে র‍্যাব।

র‍্যাব জানায়, পাপিয়া ও তার স্বামীর মালিকানায় ইন্দিরা রোডে দুটি ফ্ল্যাট, নরসিংদীতে দুটি ফ্ল্যাট, ২ কোটি টাকা দামের দুটি পস্নট, তেজগাঁওয়ে এফডিসি ফটকের কাছে গাড়ির শোরুমে ১ কোটি টাকার বিনিয়োগ, নরসিংদী জেলায় কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড অটো সলিউশন নামের প্রতিষ্ঠানে ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে।

এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করে র‍্যাব।

পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অবৈধ পাঁচ কোটি টাকার খোঁজ পেয়ে পাপিয়া ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা করে।

পাপিয়াকে নরসিংদী যুব মহিলা লীগের কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

Share.
Exit mobile version