রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ গত ১১ বছরের মধ্যে দেশে এবার সবচেয়ে বেশি চাল উৎপাদন হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ এই খাদ্যশস্য উৎপাদন হওয়ার পরও ধান-চাল সংগ্রহে সংকটে পড়েছে সরকার। খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করেও অনেক মিল মালিক শর্ত অনুযায়ী চাল সরবরাহ করেননি। উল্টো তারা ধান কিনে মজুদ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র বলছে, খোলাবাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান দেননি এবার। ফলে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এখন মিল মালিক, মজুদদার ও ব্যবসায়ীদের মজুদ দিয়েই সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এদিকে, সরকার চালের মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে অস্থিরতা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে মজুদদার ও মিল মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ ও প্রশাসন।
সরকারি সূত্র জানায়, বোরো মৌসুমে সরকারের সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় আমন মৌসুমে সে লক্ষ্য পূরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য আগামী ১৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে মজুদ, সংকট, আমদানিসহ ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমন সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা এবং দামও নির্ধারণ করা হবে এই বৈঠকে।

খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে চালের বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী থাকে কার্তিক মাসে। অগ্রহায়ণে নতুন ফসল ওঠার আগে কার্তিক মাসে সবসময়ই বাজার থাকে চড়া। কিন্তু এবার আশ্বিনেই বাজারে কার্তিকের প্রভাব দেখা দিয়েছে। সরকারি হিসাবেই বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। বেসরকারি হিসাবে বাজারদর আরও বেশি। এ অবস্থায় খাদ্য মন্ত্রণালয় যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেভাবে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। বরং শিগগির কিছু চাল আমদানি করা উচিত। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরাও (ডিসি ফুড) সরকারকে চাল আমদানির পরামর্শ দিয়েছেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ও চাল আমদানির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে রেখেছে। তবে খাদ্য বিভাগের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আমনের আগে চাল আমদানি করবে না সরকার।

Share.
Exit mobile version