বরিশাল :-  নিখোঁজের ২৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও সন্ধান মেলেনি জেলার গৌরনদী উপজেলার দিয়াশুর গ্রামের মনিরুজ্জামান হাওলাদারের পুত্র ও নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র ইসমাঈল হাওলাদার মিদুলের (১৫)। সে গৌরনদীর সীমান্তবর্তী কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ রমজানপুর গ্রামের জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ শাখায় অধ্যয়নরত ছিলো।

নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা মনিরুজ্জামান হাওলাদার জানান, রমজানপুর গ্রামের জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় তার দুই পুত্র ইসমাঈল হাওলাদার মিদুল (১৫) ও গোলাম মহিয়ান (৯) হেফজ শাখায় অধ্যায়নরত। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে মিদুলের মা মাদ্রাসায় পৌঁছে ছেলেদের সাথে কথা বলে টাকা-পয়সা দিয়ে আসেন। ওইদিন রাতেই রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয় মিদুল। পরদিন সকালে মাদ্রাসার এক শিক্ষক মিদুলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তাকে জানায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পর মিদুলকে না পেয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর কালকিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন তিনি (মনিরুজ্জামান)।

তিনি আরও জানান, মিদুল নিখোঁজ হওয়ার পরদিনই ওই মাদ্রাসার হেফজ শাখার শিক্ষক মাওলানা ফোরকান মাদ্রাসা থেকে চলে যায়। ওই শিক্ষকের নম্বরে দুইদিন যোগাযোগ করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি ওই মাদ্রাসার প্রধানশিক্ষক মাওলানা জাকির হোসেনের কাছে পুত্র হারানোর বিষয়ে চারদিন ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। পুত্রকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে মাদ্রাসার শিক্ষকরা কোন সহযোগিতা না করায় মাদ্রাসা ছাত্র ইসমাঈল হাওলাদার মিদুলকে শিক্ষকরাই গায়েব করেছেন বলেও তিনি (মনিরুজ্জামান) উল্লেখ করেন। পুত্রকে ফিরে পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

ওই মাদ্রাসার হেফজ শাখার শিক্ষক মাওলানা ফোরকান জানান, ঘটনার দিন নিখোঁজ ওই ছাত্রের মা মাদ্রাসায় আসেন এবং মিদুলকে হেফজ শাখায় পড়ার জন্য চাপপ্রয়োগ করেন। এনিয়ে মিদুলের সাথে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বোডিং খরচের টাকা দিয়ে চলে যান মিদুলের মা। ছাত্র নিখোঁজের বিষয়ে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। মাদ্রাসার প্রধানশিক্ষক মাওলানা জাকির হোসেন জানান, নিখোঁজ ছাত্রটি হাফেজি পড়তে চাইছিলো না। কিন্তু ঘটনার দিন ওই ছাত্রের মা মাদ্রাসায় এসে ছেলেকে হাফেজি পড়ার জন্য প্রয়োগ করেন। যার ফলে ছেলেটি পালিয়ে যেতে পারে বলে তিনি ধারনা করেন। তবে ছাত্র নিখোঁজের বিষয়ে তাদের কোন সংশ্লিষ্ট নেই বলেও উল্লেখ করেন। এবিষয়ে ডায়রী তদন্তকারী কর্মকর্তা কালকিনি থানার এসআই দিবাকর সরকার জানান, ছেলেটিকে খুজে পেতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

Share.
Exit mobile version