আইএসপিএবি ও কোয়াবের কর্মসূচি স্থগিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে সমাধান প্রত্যাশা
বিশেষ প্রতিনিধি।। প্রতিদিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিন ঘণ্টা করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও কেবল টিভি নেটওয়ার্ক বন্ধের সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে সৃষ্ট উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আপাতত কেটে গেছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের ত্বরিত উদ্যোগে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) আন্দোলন কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সমাধান আসার আগ পর্যন্ত স্থগিত করেছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সভায় সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সভায় বলা হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার ও কেবল টিভির আর কোনো ঝুলন্ত তার অপসারণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সমস্যা সমাধানের জন্য লন্ডন থেকে আজ রবিবার সকালে দেশে ফিরছেন। নগর ভবনে কনফারেন্স রুমে আজ আইএসপিএবি এবং কোয়াব প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকেও সমস্যা জানিয়ে তা প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করাতে বলা হয়েছে। আজ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি জানানো হতে পারে।
আইএসপিএবি ও কোয়াব প্রতিনিধিদের সঙ্গে গতকাল সন্ধ্যার ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আইএসপিএবি ও কোয়াব নেতাদের বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ডিএসসিসি মেয়রের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। সম্ভবত তাঁকে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছিল। তথ্যমন্ত্রী ও এলজিআরডি মন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এলজিআরডি মন্ত্রী সিটি করপোরেশনকে তার না কাটার পরামর্শ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন।’ মন্ত্রী আইএসপিএবি ও কোয়াব প্রতিনিধিদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত রাখার অনুরাধ জানান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় তাত্ক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমার মনে হয়, দ্রুতই এ বিষয়ে একটি সমাধান পাওয়া যাবে।’