ছবিঃনিহত জামাই এস এম সালাউদ্দিন রাজন

বিশেষ প্রতিবেদক।।পাবনার সুজানগরে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে এস এম সালাউদ্দদিন রাজন (৪০) নামক এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী কামরুন্নাহার ও শ্বশুরসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার১৯ অক্টোবর রাতে নিহত রাজনের মা সালমা খাতুন বাদী হয়ে সুজানগর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার পরপরই মঙ্গলবার ২০ অক্টোবর ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্তে সুজানগর পৌর এলাকা থেকে ফরিদ হোসেন নামক এক আসামীকে আটক করে সুজানগর থানা পুলিশ। সুজানগর থানার ওসি বদরুদ্দোজা বলেন, মামলার অপর আসামীদেরকেও ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য গত সোমবার ভোরে সুজানগর উপজেলার তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে জামাই হত্যাকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজন পাবনা সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে। নিহত রাজনের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, রবিবার রাত ১২টার দিকে রাজন মোটরসাইকেল যোগে পাবনার বাংলাবাজারের বাড়ি থেকে তাঁতিবন্দ গ্রামের মধুপুর শশুর বাড়িতে যান। সেখানে সোমবার ভোর রাত ৪টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাজন তার স্ত্রী কামরুন্নাহারকে মারধর করলে এ সময় কামরুন্নাহারের চিৎকারে শশুর বাড়ির লোকজন ছুটে আসে এবং জামাই রাজনকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে এবং এক পর্যায়ে রাজন সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললে শশুর বাড়ির লোকজন তাকে ভোর রাত ৫টার দিকে সুজানগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আসার পূর্বেই তিনি মারা গেছেন। পরে হাসপাতালে রাজনের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান শশুর বাড়ির লোকজন। স্থানীয় এলাকার লোকজন আরো জানান রাজন মাদকাসক্ত হওয়ায় গত কয়েক মাস আগে তার স্ত্রী পিতার বাড়ী মধুপুর চলে আসে। এবং এরপরও প্রায়ই রাতে নেশাগ্রস্থ হয়ে শশুরবাড়ী এসে রাজন তার স্ত্রীকে মারধর করতো। তাদের সংসারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে স্ত্রীর গর্ভে আরো একটি সন্তান রয়েছে বলেও জানান।

Share.
Exit mobile version