শাহজাহান সরকার, বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহী নগরীর পাশ দিয়ে তীব্র স্রোতে বয়ে চলা পদ্মা নদীও এখন দূষণের কবলে পড়ছে। কঠিন ও তরল দুই ধরনের বর্জ্যই ফেলা হচ্ছে পদ্মা পাড়ে। ফলে এসব বর্জ্য গিয়ে মিশছে নদীর পানিতে।
নদী নিয়ে গবেষকরা বলছেন, এখনই নদী দূষণ আর অবৈধ দখল থামাতে না পারলে বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষের জীবনযাপনে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাড়ি ঘরের ভাঙা টাইলস, পরিত্যক্ত কংক্রিটের মতো শক্ত আর্বজনাও ফেলা হচ্ছে নদীর পাড় ধরে। এ ধরনের শক্ত উচ্ছিষ্ট জিনিস ফেলার পেছনে কাজ করছে নদী দখলের মনোবৃত্তি। এই দৃশ্য আরও স্পষ্ট শহর রক্ষা বাঁধ জুড়ে। ইতোমধ্যে শহর রক্ষা বাধে বেশ কিছু স্থাপনা তৈরি হয়ে গেছে।
শহরের ভেতর পদ্মার পাশের এলাকাগুলোর বাসাবাড়ি থেকে প্রতিদিনের গৃহস্থালি সমস্ত প্রকার ময়লা-আর্বজনা নির্বিচারে পদ্মা নদীতে ফেলা হচ্ছে। বিভিন্ন রেস্তোরাঁর সব ধরনের প্লাস্টিক ও পলিথিন এবং বর্জ্য সরাসরি পদ্মা নদীতে ফেলছে। এছাড়া শহরের পাঁচটি স্লুইস গেটের মাধ্যমে শহরের তরল বর্জ্যও পদ্মা নদীতেই পড়ে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান সাংবাদিকদের জানান, শহরের মধ্যে থেকে স্লুইস গেটের মাধ্যমে যে তরল বর্জ্য পদ্মা নদীতে পড়ে তার মধ্যে দরগাপাড়া এলাকায় তরল বর্জ্যের মধ্যে ক্ষতিকর উপাদান বেশি পাওয়া গেছে। এসব বর্জ্যের ফলে পদ্মা নদীর পানি দূষণ বাড়ছে। এর ফলে পদ্মায় জলজ জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। কারণ ইতিমধ্যে দেখা গেছে রাজশাহীর আরেক নদী পবা উপজেলার বারনই নদীতেও শহরের তরল বর্জ্য পড়ে ওখানকার জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে ফেলেছে। বারনইয়ের মাছসহ জলজ প্রাণী বহুলাংশে কমে গেছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ জানান, পাঁচটি স্লুইস গেটের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের তরল বর্জ্য পড়ে পদ্মা নদীতে ।

Share.
Exit mobile version