রাঙা প্রভাত ডেস্ক।। সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার ২৭ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০নং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।

মঙ্গলবার ২৭ অক্টোবর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

ওই প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর ওপর হামলার অভিযোগে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের, বিদেশি মদ সেবন করার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক এক বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডিত হয়ে ইতোমধ্যে কারাগারে প্রেরিত হয়েছেন।

এছাড়া, তিনি অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক ছয় মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র, মাদক রাখায় আরও মামলা দায়ের করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের উক্ত কর্মকাণ্ড স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ এর ধারা ২(৩৭) এবং ১৩ (১) (খ) (ঘ) অনুযায়ী নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ এবং অসদাচরণের শামিল।

তাই অপরাধ ও অসদাচরণের অভিযোগে স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ এর ১২ উপধারা (১) অনুযায়ী প্রদত্ত ক্ষমতা বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের ৩০নং সাধারণ ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর পদ থেকে ইফরান সেলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।

এর আগে, গত ২৫ অক্টোবর রাতে রাজধানীর কলাবাগান সিগনালে এমপি হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করেন ডিএসসিসি ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম। এ ঘটনায় সে রাতেই মামলা দায়েরের পর সোমবার পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, বিদেশি মদও অস্ত্র উদ্ধার করে র‌্যাব। ইরফানকে ১৮ মাস ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ছয় মাস কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

Share.
Exit mobile version