নিজস্ব প্রতিবেদক।। স্বাস্থ্যবিধির কথা ভেবে লঞ্চ থেকে একসঙ্গে ২৫ জন করে পর্যটক সুন্দরবনে নামার কথা বলছে বনবিভাগ। গ্রুপের বাকি ২৫ জন লঞ্চে, ট্রলারে সুন্দরবনের নদী-খালে ভ্রমণ কিংবা দ্বিতীয় দফায় বনে নামতে পারবেন। এছাড়া ট্যুর অপারেটরদের লঞ্চ বনে প্রবেশের আগে পর্যটকদের শরীরের তাপমাত্রা, মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম বনবিভাগের কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ কথা জানিয়েছেন।
আজ বনবিভাগ ও ট্যুর অপারেটরদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে।
জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় সাত মাস বন্ধ থাকার পর ১ নভেম্বর থেকে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। এতে ট্যুর অপারেটর এবং পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, ‘সুন্দরবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাবধানতা মানতে হবে। এ কারণে ২৫ জনের গ্রুপ করে বনে নামতে বলা হচ্ছে। যাতে অতিরিক্ত লোকসমাগমে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি না হয়। এছাড়া প্রতি লঞ্চে বনবিভাগের লোকজন থাকবে।
একবার ট্যুর শেষে পুরো লঞ্চটি স্যানিটাইজ করতে বলা হয়েছে। ট্যুর অপারেটরদেরও তাদের ব্যবসায়িক দিক চিন্তা করে যাবতীয় শৃঙ্খলা অনুসরণ করতে হবে। ’ এদিকে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, সুন্দরবনকেন্দ্রিক খুলনা ও মোংলায় ৬৩টি ট্যুর কোম্পানির কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সাত মাস ধরে বেকার হয়ে আছেন। বনে পর্যটক প্রবেশের অনুমতি তাদের মধ্যে আশার আলো জাগিয়েছে। এরই মধ্যে খুলনার রূপসা এলাকা, ফরেস্ট ঘাট ও আঠারোবেকি নদীতে টুরিষ্ট লঞ্চগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। পর্যটকরাও এই মুহূর্তে বনে যাওয়ার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তিনি বলেন, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তারা পর্যটকদের বনে নিয়ে যাবেন। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে ১৯ মার্চ পুরো সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াত ও নৌযান চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়।