বিশেষ প্রতিনিধি।।  রংপুরের হারাগাছে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহানগর পুলিশের হেফাজত থেকে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।

এর আগে রংপুর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নির্যাতনের শিকার কিশোরী আসামিদের শনাক্ত করেন। এ দিন মামলার অন্য দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, নির্যাতনের শিকার কিশোরী নিজেই আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় আসামিদের শনাক্ত করেন। গ্রেপ্তার অন্য দুই আসামি আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।  তারা বলেছেন, এএসআই রায়হানুলের নেতৃত্বেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এবিএম জাকির হোসেন বলেন, ঘটনায় আসামি রায়হানুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ওই কিশোরীর জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলমত জব্দ করেছি। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের ডিএনএ পরীক্ষার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার ভোরে লালমনিরহাট সদর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন (৪০) ও আবুল কালাম আজাদকে (৪২)।

ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। পরিচয়ের সময় রায়হান তার ডাক নাম রাজু বলে জানান। সম্পর্কের সূত্র ধরে ২৫ অক্টোবর হারাগাছ থানার ক্যাদারের পুল এলাকায় একটি বাড়িতে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে রায়হানুল। রায়হানের পরিচিত কয়েক যুবকও পরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং সন্ধ্যায় সেখান থেকে বের হয়ে  টহল পুলিশকে বিষয়টি জানায়।

Share.
Exit mobile version