যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই গোটা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় জুয়ার শহর লাস ভেগাস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাত্র ৬ ইলেক্টোরাল ভোট আছে লাস ভেগাস যে ছোট্ট অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত সেই নেভাদার। কিন্তু ক্যাসিনোময় এ অঙ্গরাজ্যই কিনা ট্রাম্প-বাইডেনের ভাগ্য নির্ধারণে নিয়ামক হয়ে উঠেছে।

বরাবরই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় এই অঙ্গরাজ্যে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে খুব কম ব্যবধানে এই অঙ্গরাজ্যে জিতেছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। এই দফা এগিয়ে আছেন একই দলের প্রার্থী জো বাইডেনও। কিন্তু সেটি এতই সামান্য ব্যবধানে যে যেকোনো সময় পাল্টে যেতে পারে পাশার দান।

নিউইয়র্ক টাইমসের হিসেব বলছে, নেভাদায় মাত্র ৭ হাজার ৬৪৭ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন বাইডেন। তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ ৮৮ হাজার ২৫২ ভোট। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬০৫টি। শতাংশের হিসাবে এই ব্যবধান শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ।

এখনো প্রায় ১৪ শতাংশ ভোট গণনা বাকি আছে নেভাদায়। ফলে ফলাফল যেকোনো দিকেই ঘুরে যেতে পারে।

ফক্স নিউজের হিসেব অনুযায়ী, অ্যারিজোনাসহ এখন পর্যন্ত মোট ২৬৪ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন বাইডেন। অর্থাৎ নেভাদায় জয় পেলেই হোয়াইট হাউসের টিকিট মিলবে তার। কারণ তখন প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট নিশ্চিত করবেন তিনি। এ কারণে নেভাদার দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন দুই প্রার্থীই।

অবশ্য সহসাই পাওয়া যাচ্ছে না নেভাদার ফল। সিএনএনকে স্টেটটির একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় (বাংলদেশ সময় শুক্রবার) এই রাজ্যের ভোট গণনার আপডেট জানাবেন তারা। সেখানকার আইন অনুসারে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত আসা ডাকভোটও গ্রহণ করা হবে।

ক্যাসিনোর রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোটগুলো নিজের ঝুলিতে নিতে মরিয়া হয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন পর্যন্ত ২১৩টি ইলেক্টোরাল ভোট তার। ফলাফল বাকি থাকা অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে জর্জিয়া (১৬), নর্থ ক্যারোলাইনা (১৫) ও পেনসিলভানিয়ায় (২০) এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এগুলো নিশ্চিত করার পাশাপাশি, নেভাদার ৬ ইলেক্টোরাল ভোট যুক্ত হলে আরও ৫৭ ভোট যুক্ত করতে পারবেন তিনি। তখন তার বর্তমান ২১৩ ইলেক্টোরাল ভোট গিয়ে পৌছাবে ২৭০-এ। অর্থাৎ হোয়াইট হাউজেই থেকে যেতে পারবেন ট্রাম্প।

ক্যাসিনোর র‍াজ্যে কার ভাগ্য খুলে সেটিই এখন দেখার বিষয়।

Share.
Exit mobile version