বিশেষ প্রতিনিধি।। রংপুর মেডিকেল দালালমুক্ত করতে অভিযানে নেমেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। টানা তিন দিন ওঁত পেতে থাকা গোয়েন্দাদের জালে এখন পর্যন্ত হাতেনাতে ধরা পড়েছে চক্রের ১৫ জন সদস্য। সোমবার (১৬ নভেম্বর) অভিযান চালিয়ে আরও ১২ জন দালাল গ্রেফতার করা হয়। এতে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে সেবা প্রত্যাশী মানুষের মধ্যে।

করোনাকালের বৈরি এই সময় নেহাত ‘জীবন-মরণ’ সমস্যা ছাড়া হাসপাতাল মুখি হয়না মানুষ। সম্পদ বিক্রি করেও কেবল বাঁচার আশায় আসেন অনেক গরীব রোগী। আর অসহায় মানুষগুলোকে ফাঁদে ফেলে অল্প খরচে ভালো চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে ভাগিয়ে নিয়ে শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিচ্ছিলো দালাল চক্র।

শনিবার ১৪ নভেম্বর হঠাৎ রংপুর মেডিকেলে অভিযান চালান গোয়েন্দা সদস্যরা। রোগী আর দর্শনার্থীদের ভিড়ে মিশে গিয়ে দালালচক্রের ওপর কড়া নজর রেখে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিন দালালকে।

রোববার ও সোমবারও অব্যাহত থাকে এই অভিযান। ধরা পড়ে দালালচক্রের আরও ১২ জন। গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে সাধারণ মানুষ ফেলছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। দালালশূন্য না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তম প্রসাদ পাঠক। তিনি বলেন, এই দালালদের নিশ্চিহ্ন করতে যা যা করণীয় পদক্ষেপ আমরা তাই করবো।

সরকারি হাসপাতালে ঢুকতে বাধা, বল প্রয়োগ বা প্রলোভনে ফেলে অসহায় মানুষদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় ও প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি নিয়মিত মামলা করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে গ্রেফতারকৃত ১৫ জনকে।

Share.
Exit mobile version