বাজারগুলোতে শীতের শাকসব্জি’র ব্যপক আমদানী, দামও কমতে শুরু করেছে
নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ’র বাজারগুলোতে শীতকালীন শাকসব্জি’র ব্যপক আমদানী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নওগাঁ জেলার বিভিন্ন হাটবাজারসহ জেলা শহরের প্রধান কাঁচা বাজার, মুক্তিরমোড় বাজার, দয়ালের মোড় বাজার, সদর উপজেলা পরিষদ বাজার, বাস টার্মিনাল বাজার, বিহারী কলোনী বাজারসহ দয়ালের মোড় বউ বাজার ও পারনওগাঁ খলিফাপাড়া বউবাজার এবং আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ, বিহারীপুর মুক্তিযোদ্ধাবাজার, নওদুলী হাট,আহসানগঞ্জহাট, মির্জাপুর পুর, সমসপাড়া হাটসহ বিভিন্ন অলিগুলির ছোট বড় হাট বাজারগুলোতে এখন শীতের নানা সব্জির সামাহার। ব্যপক আমদানীর পাশাপাশি এসব সব্জির দামও কমতে শুরু করেছে।
নওগাঁ জেলায় চলতি শীত মওসুমে মোট ৮ হাজার ৮শ ২০ হেক্টর জমিতে শাকসব্জি চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ২১০ হেক্টর, আত্রাউ উপজেলায় ৩৭৫ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ১ হাজার ১শ ৬৫ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ১ হাজার ২শ হেক্টর, পতœীতলা উপজেলায় ৭২০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১ হাজার ৩শ ১৫ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৩৬০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১ হাজার ২শ ৪৫ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৬১৫ হেক্টর। এসব জমি থেকে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৪০ মেট্রিক টন শাকসিব্জ উৎপাদিত হবে বলে কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা।
এখন পর্যন্ত জেলায় ৫ হাজার ৮শ ৪০ হেক্টর জমিতে শীতের শাকসব্জি উৎপাদিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শামসুল ওয়াদুদ বলেছেন এ বছর কৃষি বিভাগ কর্ত্তৃক ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী শাকসব্জি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৩৫০ হেক্টর জমিতে লালশাক, ১৩০ হেক্টর জমিতে সবুজশাক, ৩২০ হেক্টর জমিতে পালংশাক, ১৫০ হেক্টর জমিতে পুঁইশাক, ১২০ হেক্টর জমিতে কলমীশাক, ৪৮০ হেক্টর জমিতে মুলা, ৩২০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি, ৩৯০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি, ৯০ হেক্টর জমিতে গাজর, ৩৮০ হেক্টর জমিতে করলা, ৩৮০ হেক্টর জমিতে শশা, ১০০ হেক্টর জমিতে খিরা, ৮২০ হেক্টর জমিতে বেগুন, ১০০ হেক্টর জমিতে বরবটি, ২১৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া, ২৬৫ হেক্টর জমিতে টমেটো, ৯০০ হেক্টর জমিতে শিম এবং ৩৩০ হেক্টর জমিতে লাউ উৎপাদিত হয়েছে।
বাজারে শাকসিব্জর দাম কমতে শুরু করেছে। জেলা বাজার কর্মকর্তা জানিয়েছেন রবিবারের বাজার অনুযায়ী লালশাক ৪০ টাক থেকে কমে গিয়ে ৩০ টাকা কেজি, পালংশাক ৬০ টাকা থেকে কমে গিয়ে ৩০ টাকা কেজি, বেগুন ১শ টাকা থেকে কমে গিয়ে ৬০ টাকা কেজি, শিম ১৬০ টাকা থেকে মকে গিয়ে ৬০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা থেকে কমে গিয়ে ৩০ টাকা কেজি, বাধা কপি প্রতিটি ৫০ টাক থেকে কমে গিয়ে ৩০/৩৫ টাকায়, ফুরকপি প্রতিটি ৫০ টাকা থেকে কমে গিয়ে ৩৫/৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য শাকসব্জির দামও তুলনামুলকভাবে কমে গেছে।