নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা :-  খুলনায় বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সোনাডাংগা থানা আ. লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মোল্লা হত্যা মামলায় আ’লীগ নেতা বাহাউদ্দিন খন্দকার সহ তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে অভিযান চালিয়ে খুলনা সদর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আ’লীগ নেতা বাহাউদ্দিন খন্দকার, সোহরাব হোসেন ও মিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।সিআইডি পরিদর্শক মোঃ শাহজাহান জানিয়েছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন মোল্লা এলাকার ভূমি দস্যুদের পরিকল্পনায় ভাড়াটিয়া খুনিদের হাতে গত ১৪ জুন, ২০১৭ ইং তারিখ (বুধবার) ইফতারের পর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেনসহ সাত থেকে আটজন রায়েরমহল এলাকার হামিদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি করে। ঘাড়ে, হাতে ও বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত হোসেনের মৃত্যু হয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয় লিয়াকত খান ও তার ছেলে মোস্তফা, বুলবুল ও রুবেল। নিহত শাহাদাত হোসেন সোনাডাঙ্গা থানা আ. লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও ওয়ার্ড রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।। তার শরীরে সর্বমোট ১১টি গুলি বিদ্ধ হয়।

নিহতের পুত্র আল-মামুন সুমন বাদী হয়ে হরিণটানা থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নামে মামলা করেন। খুলনার বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন মোল্লা হত্যা মামলাটি নগর গোয়েন্দা পুলিশ থেকে সিআইডিতে (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) স্থানান্তর করা হয় । মামলাটি তদন্ত করেন সিআইডির পরিদর্শক মোঃ শাহজাহান । তদন্তের একপর্যায়ে ১৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন খন্দকার, সোহরাব হোসেন ,মিরাজ সহ আরো চার পাঁচজনের নাম উঠে আসে ।এর মধ্যে বাহাউদ্দিন খন্দকার, সোহরাব হোসেন ,মিরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিআইডি’র তদন্ত করে আজ সোমবার তিন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়। আসামীদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

অপর একটি সুত্র জানায়,খুলনার বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন মোল্লা হত্যাকান্ডকে নিয়ে চারটি কারণ অনুসন্ধান করে তদন্তকারী সংস্থা। সেগুলো হচ্ছে এলাকার আধিপত্য বিস্তার, রায়েরমহল এলাকায় ঘের নিয়ে বিরোধ, চরমপন্থিদের সাথে দ্বন্ধ ছাড়াও আশপাশ এলাকার ভূমি দস্যুদের পরিকল্পনায় হত্যাকান্ড হয়েছে এমন বিষয় নিয়েও তদন্ত করছে। শাহাদাত হোসেন মোল্লা হত্যাকান্ডকের পর এলাকায় ম,আ,ন অধ্যক্ষের নাম যানা গেলেও তাদের বিষয় অধিকতর তদন্ত চলছে বলে সুত্রটি জানায় । ইতিমধ্যে তাদের একজন হত্যাকান্ডের পরই দেশ ছেরেছেন । আরেকজন আটককৃর্ত সোহরাবের ঘনিষ্ঠজন হয়ে এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পশ্চিম এলাকায় ।

Share.
Exit mobile version