স্পোর্ট ডেস্ক।। মুজিববর্ষে আন্তর্জাতিক সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশ শিবির। শেষ ম্যাচে ড্র করলেও, সার্বিক ফলাফলে খুশি সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস।
অন্যদিকে, এরকম সিরিজ আরো আয়োজন করা গেলে দেশের ফুটবলের জন্য ভালো হবে বলে মনে করেন প্রথমবারের মতো দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পাওয়া আমের খান। অসন্তুষ্ট নন নেপালীরাও। করোনা এবং ইনজুরি জর্জরিত দলের পারফরম্যান্সে খুশি কোচ বাল গোপাল মহারজন।
দশ মাস পর মাঠে গড়িয়েছিলো ফুটবল। ফিটনেস আর করোনা নিয়ে শঙ্কা ছিলো দুই শিবিরেই। তবে, সব জল্পনা কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে মাঠের ফুটবলে মন জুড়িয়েছে দর্শক-সমর্থকদের।
ম্যাচটা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে, প্রথম ম্যাচের জয়ে সিরিজ পকেটে গেছে জামাল ভুইঁইয়াদেরই। আনন্দের তাই কমতি নেই লাল সবুজ শিবিরে।
ম্যাচে খেলার কৌশল নিয়ে সমালোচনা আছে অনেক। কিন্তু, প্রধান কোচের জায়গায় দায়িত্ব সামলানো ওয়াটকিস ভাবছেন না সেগুলো নিয়ে। দিন শেষে ফলাফলটাই মুখ্য এ ইংলিশের কাছে। সিরিজ জয়ের এ আত্মবিশ্বাস পুঁজি করতে চান কাতার মিশনে।
বাংলাদেশের সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস বলেন, ‘ম্যাচটা, আমরা জিততে পারিনি। কিছুটা আক্ষেপ অবশ্যই আছে। তবে, আমি ছেলেদের ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা কৌশল মতোই খেলেছে। ফিটনেস এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো। কাতারের আগে পুরো ঠিক হয়ে যাবে। আশা করি, মরুভূমি থেকে আমরা ভালো ফল আনতে পারবো।’
নেপালের বিপক্ষে এ সিরিজ প্রাণ ফিরিয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলে। দর্শক জোয়ার মুগ্ধ করেছে কর্তাদের। এ ধরণের সিরিজ তাই আরো বেশি করে চান প্রথমবারের মতো দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব নেয়া আমের খান।
বাংলাদেশের ম্যানেজার আমের খান বলেন, ‘আমি বাফুফের সকল কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই, এমন একতা সিরিজ আয়োজনের জন্য। ফুটবল যে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা তা আবারো প্রমাণ করেছে সমথর্করা। এ ধরনের টুর্নামেন্ট আরো বেশি করে আয়োজন করতে হবে, এতে আমাদের দেশের ফুটবলের উন্নতি হবে।’
এদিকে, সিরিজে হারলেও অসন্তুষ্ট নয় নেপালীরা। করোনা এবং ইনজুরিতে পূর্ণ শক্তির দল না পাওয়ায়, ফলাফলের চেয়েও মাঠে ফেরাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাল গোপাল মহারজনের কাছে।
নেপাল দলের কোচ বাল গোপাল মহারজন বলেন, ‘আমি ফল নিয়ে একেবারেই অসন্তুষ্ট নই। ছেলেরা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে খেলেছে। আমাদের পূর্ণ শক্তির দলকে আমরা পাইনি। অনুশীলনও করেছি অনেক কম। তাই, ফলের চেয়েও মাঠে নামাটাই আসল ছিলো আমাদের জন্য।’
নেপাল সিরিজ শেষে এবার কাতার মিশনের জন্য প্রস্তুত হবে বাংলাদেশ। ৪ঠা ডিসেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে মরুর দেশটির মুখোমুখি হবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।