রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ  প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের পর এবার চীনে নরোভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ ভাইরাসটিতে ইতোমধ্যেই দেশটির শিচুয়ান প্রদেশে ৫০ জনের বেশি শিশু আক্রান্ত হয়েছে।

এটি একটি সংক্রমক রোগ। এর ফলে বমি ও ডায়রিয়া দেখা দেয়। যে কোনো বয়সের ব্যক্তি নরোভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে এবং এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে।

সম্প্রতি শিচুয়ান প্রদেশের জিগংগ শহরের একটি কিন্ডার গার্টেনে এ ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সেখানে নরোভাইাসের প্রভাবে শিশুদের বমির উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
নরোভাইরাস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কোটি কোটি নরোভাইরাস কণা ফেলতে পারে এবং কেবল কয়েকটি ভাইরাসের কণাই অন্য মানুষকে অসুস্থ করতে পারে।

একটি মেডিকেল গবেষণা বলছে, নরোভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি ক্লান্তি বোধ করতে পারেন, পেশীর ব্যথা, মাথাব্যথা এবং শরীর শীতল হওয়াসহ নিম্ন-গ্রেড জ্বর (১০১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম) হতে পারে। লক্ষণগুলো প্রায় এক থেকে দুই দিন স্থায়ী হয়। যদিও এই ভাইরাল সংক্রমণের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী কোনো সমস্যা অব্যাহত থাকে না।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরাত দিয়ে চীনা সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মহামারীর অনুসন্ধান ও নিউক্লিক এসিড টেস্টে দেখা গেছে, নরোভাইরাসের সংক্রমণের ফলে বমি বমি ভাব দেখা দেয়।

আক্রান্ত শিশুদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। মৃদু সংক্রমণ নিয়ে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে।  তবে নরোভাইরাসটির টিকা এখনো সহজলভ্য হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে বছরে ৬৮ কোটি ৫০ লাখ মানুষ নরোভাইরাসে আক্রান্ত হন। চীনে এ ভাইরাসটির বিস্তার বাড়ছে।

Share.
Exit mobile version